স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহŸায়ক ইমতিয়াজ মুজতবা খান তুষার নানা বৈতরনী পেরিয়ে আজ একজন সফল তরুণ নেতা। তৃনমুল থেকে বেড়ে ওঠা এই নেতার জীবনের সোনালী দিন গেছে নানা প্রতিকূলকতার মধ্য দিয়ে। জীবনে অনেক ঝড় বয়ে গেছে তার ওপর। নির্যাতনের স্ট্রীম রোলারে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে তার পুরো পরিবার। তবুও হাল ছাড়েনি। শক্ত হাতে হ্যান্ডেল করে তিনি আজ একজন সফল তরুণ রাজনৈতিক কর্মী।
ইমতিয়াজ মুজতবা খান তুষারের দিন কেটেছে রাজপথে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। দলকে আকড়ে ধরে জীবন বাজী রেখে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন। রাজপথের রনাঙ্গনের সাহসী বীর সেনানী তিনি। ছাত্র হিসাবে ছিলেন মেধাবী ও অসীম সাহসী। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ‘দলের দুর্দিনে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে সোচ্চার ছিলাম। আমরা সবাই মিলে সফল হয়েছি, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা নিজের জীবন রক্ষার জন্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ভারতে। সেখানে বসে হাসিনা একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে যদিও সেই ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের সবার প্রিয়নেতা তারেক রহমান বলেছেন; বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম ত্যাগ বঞ্চনা সহ্য করে বিএনপি জনগণের যে আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে, কিছু বিপথগামী চাঁদাবাজ দখলদারদের হঠকারিতায় সেই আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেটা সহ্য করা হবেনা। যাই হোকনা কেন আমাদের দল সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে। পরিশেষে তিনি গাছা থানাবাসী সকলের জন্য আগামী দিনগুলো মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং সেই সাথে সকলের ভালবাসা, সমর্থন ও দোয়া কামনা করেন।
গাছা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ইমতিয়াজ মুজতবা খান তুষার তিনি হঠাৎ করে বিএনপির রাজনীতিতে উড়ে আসে নাই। গত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম ও রাজপথে গাছা থানায় তাঁর ভূমিকা বিন্দু পরিমাণের কম ছিল না। মামলা, নির্যাতন, কারাবরণেও গাছা থানায় কারো থেকে কম ছিল না। শুধু তিনি নন, উনার পরিবারের প্রতিটা সদস্য বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। প্রত্যেকে গত ১৭ বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আমি সহ আরও অনেক সহযোদ্ধাও মামলা জেল ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। রাজপথে গত ১৭ বছর যদি উনার ভূমিকা বিন্দু পরিমাণের কোথাও ঘাটতি থেকে থাকে বলে কেউ যদি মনে করে তাহলে তার রাজনৈতিক জীবনে ও তার রাজনীতিক জ্ঞানের প্রতি খুবই তাচ্ছিল্য করা হবে বলে আমি মনে করি। গাছা থানায় কয়টা পরিবারের সকল সদস্য উনার মত বিএনপির সাথে জড়িত। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। তাই ওনার মত মাঠের কর্মীদেরকে নিয়ে যারা ফেক আইডি খুলে উল্টাপাল্টা লেখেন তৃণমূলের মাঠ কর্মী হিসাবে গত ১৭ বছর আপনাদের ভূমিকা জানতে চাই। গত ১৭ বছর নির্যাতিত একনিষ্ঠ মাঠের কর্মীদের কে নিয়ে যারা উল্টাপাল্টা গুজব ছড়ান তারা আওয়ামী লীগের দোসর বলে আমি মনে করি। পরিশেষে সকল অপশক্তিদের হুসিয়ার করে বলতে চাই তুষার ভাই এর নামে এমন প্রপাগান্ডা ছরালে তুষার ভাই এর কর্মীরা কিন্তুু চুপ করে বসে থাকবে না, সবকিছুরই দাত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
Discussion about this post