স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে গাজীপুর সদর উপজেলায় ৫০ পরিবারকে ষাঁড় বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) গাজীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাছুরগুলো বিতরণ করা হয়। এছাড়া ১৫০ কেজি দানাদার খাবার এবং ১০০ স্কয়ার ফুট গৃহনির্মাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের (আইএমইডি) মহাপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ড. অসীম কুমার দাস, গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নার্গিস খানম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শাহীন মিয়াসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইএমইডির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সারা দেশে এক লাখ ৩৭ হাজার পরিবারকে পশু পালনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আপনাদের হাতে একটি করে ষাঁড় বাছুর এবং খাবার ও গৃহনির্মাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মালিক আপনারা। সরকার আপনাদের আত্মনির্ভরশীল হতে সিঁড়ি তৈরি করে দিয়েছে। এটি দিয়ে ওপরে উঠবেন নাকি নিচে নামবেন তা আপনাদের ওপরেই নির্ভর করছে। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।
সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়ন বিষয়ক প্রকল্পের পরিচালক আসীম কুমার দাস বলেন, নিজের উন্নয়ন নিজেকেই করতে হবে। আজ আপনারা যা পেলেন তা দিয়েই আপনাদের ভাগ্য ফেরাতে হবে। আপনাদের আশপাশে খবর নিলেই দেখতে পাবেন, এই প্রকল্প থেকে সহায়তা নিয়ে অনেকেই আজ স্বাবলম্বী। অনেকেই তাদের সন্তানদের লেখাপড়া করাচ্ছেন। অনেকে আবার গরু ছাগল ভেড়া বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন। সরকারি সহায়তা নিয়ে আমরা আপনাদের পাশে আছি। এগুলো লালন-পালন করায় কোনো সমস্যা হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সেবা দেওয়া হবে।
প্রাণিসম্পদ ও প্রাণিসম্পদ উপকরণ পেয়ে হাসিমুখে ফিরতে দেখা গেছে অনেককে। পঞ্চাশোর্ধ পঞ্চানন্দন বর্মন একটি ষাঁড় বাছুর পেয়ে অনেক খুশি। তিনি বলেন, এই গরুটিকে আমি আমার সন্তানের মতো করে লালন-পালন করবো। এই বয়সে আরও পরিশ্রম করতে পানি না। এই গরুটি বড় করে বিক্রি করবা। সেই টাকা দিয়ে চেষ্টা করবো একটি বড় খামার করার।
Discussion about this post