স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) দিনব্যাপী ‘ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপো এন্ড জব ফেয়ার’-এর আয়োজন করা হয়েছে। ডুয়েট ক্যাম্পাসে এদিন সকালে উদ্বোধনের পর থেকেই এ চাকুরি মেলার স্টল গুলোতে প্রার্থীদের ভিড় লক্ষ্য গেছে। সকাল ১০টায় ডুয়েট মেলাটি উদ্বোধন করেছেন ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। উদ্বোধনের পর উপাচার্য ক্যাম্পাসের মেলায় স্থাপিত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন।
এসময় তার সঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোঃ আরেফিন কাওসার, জব ফেয়ার আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব ডঃ মোঃ মাহমুদুর রহমান এবং বিভিন্ন কারখানার ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন ও কর্মকর্তা প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডঃ হাসান মোহাম্মদ মোস্তফা আফরোজ।
আয়োজন কমিটির সভাপতি জানান, মেলায় মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাণ গ্রুপ, ক্রাউন সিমেন্ট, শাহ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, আরএফএল গ্রুপ, এনার্জিপ্যাক, বারাকা গ্রুপ, রানার গ্রুপ, বাংলা ক্যাট, বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডসহ প্রায় অর্ধশত শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এখানে চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করবেন। পরে কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে তথ্য জানাবে।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিপলই বিষয়ের সাবেক শিক্ষার্থী দিদার হোসেন জানান, ২০৩০ সালে তিনি এ প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক পাস করেছেন। এই মেলায় একাধিক কারখানায় চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। তিনি পরামর্শ দেন চাকুরি মেলায় আবেদনকারীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে স্পট ইন্টারভিউর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করলে ভালো হতো। কে এস আর এম কারখানার ডেপুটি ম্যানেজার সৈয়দ তানভিরুল হাসান জানান, আবেদনকারীদের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ইন্টারভিউয়ের জন্য কল করা হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘এই অনুষ্ঠান শুধুমাত্র একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপো ও জব ফেয়ার নয়; এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম- যেখানে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ের ভবিষ্যত নির্মাণ এবং শিল্পের বর্তমান চাহিদা পূরণের বিষয়ে দিক উন্মোচন করবে। এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপো ও জব ফেয়ার এমন একটি সুযোগ, যেখানে মেধাবী মস্তিষ্কগুলো তাদের উচ্চাশা নিয়ে একত্রিত হতে পারে, যেখানে একাডেমিক শিক্ষা এবং কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী বাস্তব দক্ষতাগুলো একত্রিত হতে পারে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার চমৎকার দিকগুলোতে সফলতার পথ তৈরি হতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যে উদ্ভাবন, গতিশীল ও পরিবর্তনশীল বিশ্বে পা রাখতে চলেছে, তা বোঝারও এটি একটি সুযোগ রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি এবং পরিবর্তনের গতি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, প্রতিদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং স্মার্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার থেকে শুরু করে দক্ষ পেশাদারের প্রয়োজন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। আজকের এই প্ল্যাটফর্মে আমাদের সাথে অংশীদার হয়ে আপনারা শুধু আমাদের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করছেন না, আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন প্রজন্মের ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে সংযুক্ত করছেন যারা এসব ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করবে।’
Discussion about this post