গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুর জেলার সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম এর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ জানুয়ারি বুধবার বেলা ১২ টায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এ সময় জয়দেবপুর চৌরাস্তার মূল সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
এর আগে সকাল দশটায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক নেতা ইসমাঈল হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোঃ মোছাদ্দিকুর রহমান, নবরুণ বিদ্যাপীঠ এর প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র মন্ডল, গাজীপুর কেজি স্কুল এসোসিয়েশন এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুল ইসলাম মানু, গাছা প্রাইভেট স্কুল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, গাজীপুর বেসরকারি স্কুল সোসাইটির নেতা শহিদ মন্ডল, আবাবিল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক প্রমুখ।
জানা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলায় সদ্য যোগদানকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম কিন্ডারগার্টেন স্কুলে বই না দেওয়ার ঘোষণা দেন। গতকাল মঙ্গলবার তার নিজ কার্যালয়ে শিক্ষকদের আমন্ত্রণ করেও তিন শতাধিক শিক্ষককে দুই ঘন্টা বসিয়ে রেখে সাক্ষাৎ করেননি। তিনি মুঠোফোনে শিক্ষকদের সাথে অশালীন আচরণ করেন। কিন্ডারগার্টেন স্কুল সমূহকে দোকান বলে আখ্যায়িত করে দোকান গুলো বন্ধের ঘোষণা দেন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ । পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোঃ ইসমাঈল হোসেন, মোছাদ্দিকুর রহমান ও মাসুদুর রহমানের নাম উল্লেখ করে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক গংদের আসামি করে সদর মেট্রো থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। প্রতিবাদ সভায় হাজারো শিক্ষক অংশগহণ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ সময় উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষক জানান, চলতি বছরের প্রথম দিন জেলার পাঁচটি উপজেলায় বই বিতরণ হলেও সদর উপজেলায় এখানো পর্যন্ত কোন বই দেওয়া হয়নি কবে দেওয়া তাও জানেননা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পরে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালামকে অপসারণের এক দফা দাবিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ আলমের সাথে সাক্ষাৎ করে ঘটনা অবহিত করে আলাদা দুটি স্মারক লিপি প্রদান করেন ।
জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বলেন,আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়িত না হলে, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক নেতা দেলোয়ার হোসেন সারোয়ার, শহীন পারভেজ,মোঃ আলাউদ্দিন, তমিজুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, বেলায়েত হোসেন রওনক উদ্দিন, আব্দুল মতিন,ফাহমিদুল হাসান, হান্নান সরকার, হাসান মিয়া, আসাদুজ্জামান, নাজির আহমেদ, মাসুদুর রহমান, হাবিকুল ইসলাম, শাহজাহান মাস্টার, আজাদ মিয়া, শাহাদাত হোসেন রানা, সাইফুল ইসলাম,শহিদুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী, রিপন মিয়া, খোরশেদ আলম, ইঞ্জিনিয়ার লোকমান হোসেন প্রমুখ।
Discussion about this post