মো. মেহেদী হাসান: নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করা আজকের বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা সম্প্রতি ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে জনমনে জায়গা করে নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে সনদপ্রাপ্ত হন কামরুল হোসেন মোল্লা। পরবর্তীতে নিজ যোগ্যতা ও কর্মনিষ্ঠার মধ্য দিয়ে নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজকে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি বেশ কিছু বিচারিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে জননন্দিত হয়েছেন বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা। জানা যায়, সম্প্রতি ২০২৪ সালে একটি রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে আমাদের দেশের ৪৩ টি কোম্পানিতে ভারতীয় প্রায় পাঁচ লক্ষ নাগরিক অবৈধভাবে কাজ করে প্রতিদিন প্রায় ছয় লক্ষ ইউএস ডলার পাচার করে নেয়া লোকদের তালিকে প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সহ আটজনকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং সরকার নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত টাকা যাতে না নিতে পারে তার জন্য রেসট্রেইন আদেশ প্রদান করেন। অপর একটি রিট মামলায় ২৪ এর ৫ অগস্ট বিপ্লবে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের কেন শহীদের মর্যাদা দেয়া হবেনা তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
তিনি সাবেক মন্ত্রী-এমপি রেদওয়ান আহমেদ ও ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পিএস মনিরুল ইসলামকে জামিন প্রদান করেন। গত ২৩ অক্টবর আট বছরের জেলসমেত বিশেষ জজ আদালতের রায় বাতিল করে
বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস প্রদান করেন বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা।
এছাড়াও তিনি গত ১২ নভেম্বর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ঢাকার বিশেষ জজ ৫ম আদালতের দেয়া তিন বছরের জেলসমেত রায় বাতিল করে তাকে খালাস দেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিচারকার্যের দীর্ঘ সময়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সিদ্ধান্ত কখনো কারো পক্ষে গেছে আবার কারো বিপক্ষেও গেছে তবে তিনি সব-সময়ই সত্যের পক্ষে ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অবিচল রয়েছেন।
Discussion about this post