নাটোর প্রতিনিধি :: নাটোরের নলডাঙ্গার রামশার কাজীপুরে ১৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক এ এফ এম মারুফ চৌধুরী এ রায় দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রামশার কাজীপুরে ১৮টি বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে একই গ্রামের আনিছুর শাহের ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় ৪৩৬ ধারায় অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ৯৪ জনকে ২০০৭ সালের ৬ আগস্ট ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রওনক মাহমুদ।
মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৭ সালের ৬ আগস্ট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলসহ ৩০ জন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিস্পত্তি হওয়া মামলার আপিল শুনানি শেষে আজ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক দণ্ডপ্রাপ্ত সকল আসামিকে খালাসের আদেশ দেন।
নাটোর আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার টগর বলেন, বিচারক মামলার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দুলুর ভাতিজা যুবদল নেতা সাব্বির আহম্মেদ গামা হত্যাকাণ্ডের পর বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে সেই হত্যা মামলার আসামি ও তাদের স্বজনরা পরিকল্পিতভাবে দুলু ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে ঘটনার তিন বছর পর কাউন্টার মামলা হিসেবে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শরিফুল ইসলাম মুক্তা জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত মামলার আপিল শুনানি শেষে বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক দণ্ডপ্রাপ্ত সকল আসামিদের খালাস প্রদান করেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এই মামলায় খালাস পাওয়ায় জাতীয় সংসদ সহ যেকোন নির্বাচনে প্রার্থী হতে আর কোনো বাঁধা নেই। এমন রায়ে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
Discussion about this post