স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী :: গাজীপুরের টঙ্গীতে ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধকল্পে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে এলাকাবাসীর সঙ্গে অংশ নিয়েছেন শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কয়েকশ বাসিন্দা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও পরে টঙ্গী পূর্ব থানার সামনে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
মহাসড়কে বিক্ষোভ শেষে বিক্ষুব্ধরা ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ তুলে ধরেন। এ সময় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের পরিদর্শক তদন্ত মো. আতিকুর রহমানের সঙ্গে মৌখিক অভিযোগ তুলে ধরে ছিনতাই ও ডাকাতিরোধে পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান রফিকুল ইসলাম মাদানী।
শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন, প্রতিনিয়ত ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী বাজার এলাকা থেকে জয়দেবপুরের চৌরাস্তা পর্যন্ত ছিনতাই ও গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গত কয়েক দিনে আলেম-ওলামারা এ মহাসড়ক ব্যবহার করায় গাড়িতে ডাকাতির কবলে পড়েন। এতে কয়েকজন আলেম ডাকাত দলের সদস্যদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। গত কয়েক দিন আগে মাহফিল শেষে ঢাকায় ফেরার পথে টঙ্গীর গাজীপুর এলাকায় আমার গাড়িতে একদল ডাকাত হামলা চালায়। তবে আমরা কৌশলে ডাকাত দলের সদস্যদের হাত থেকে আহত না হয়ে ফিরেছি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় আলেম-ওলামাদের নিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি প্রতিরোধে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় যুবকরা এতে অংশ নেবেন। তবে যদি পুলিশ ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যর্থ হয় তবে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেব।
বিক্ষোভে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকার মসজিদের ইমামদের মধ্যে মুফতি হাফিজুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা আব্দুস সালাম, মুফতি ইব্রাহিম খলিল, মুফতি নুর মোহাম্মদ ও মুফতি তানভীর আল মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।
টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের পরিদর্শক তদন্ত মো. আতিকুর রহমান বলেন, প্রতিনিয়ত ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে কয়েকটি টহল দলে পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
Discussion about this post