স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানা পুলিশের তিন উপ-পরিদর্শক (এসআই)কে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার নাজমুল করিম খান।
প্রত্যাহারকৃত ওই তিন এসআই হলেন, কোনাবাড়ি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই উৎপল সাহা, এসআই আব্দুল হামিদ মাহমুদ ও এসআই আবুল কাশেম। রোববার রাতে তাঁদের প্রত্যাহার করে ওই তিন এসআইকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করার পর, ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার ঘটনায় জড়িত তিন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) তাঁদের প্রত্যাহার করা হয় এবং তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য একজন এডিসিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গ: গেল ৩রা জানুয়ারি রাতে গাজীপুর কোনাবাড়ি বাজার এলাকা থেকে নুরুল ইসলাম নামের এক ওষধ ব্যবসায়ীকে ধরে থানায় নেওয়া হয়। এরপর ওই রাতেই পুলিশ সদস্যরা হত্যা মামলার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা আদায় করেন ব্যবসায়ীর স্বজনদের কাছ থেকে। পুলিশ সদস্যরা ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরের দিন সকালে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নুরুল ইসলামকে আদালতে পাঠান। আদালত ওই দিনই ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে জামিন দেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হলেন, কোনাবাড়ি হাউজিং এলাকার হোসেন আলী মুন্সীর ছেলে নূরু ইসলাম (৪৫)। তিনি কোনাবাড়ি বাজার এলাকায় এশিয়ান ফার্মেসীর মালিক এবং ওষুধ ব্যবসায়ী।
পুলিশ সূত্রে জানায়, ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে টাকা নেওয়ার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় রোববার রাতে কোনাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও কোনাবাড়ি থানার সেকেন্ড অফিসার উৎপল সাহা, উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদ মাহমুদ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেমকে প্রত্যাহার করা হয়।
Discussion about this post