গাজীপুর প্রতিনিধি :: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ কলেজে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যে কোন মূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজের উপস্থিত হার বৃদ্ধি করতে হবে। যদিও আমাদের সমাজে নানাবিধ সমস্যা বিদ্যমান তবুও ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে ফেরানোর জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তিনি বলেন, এখন থেকে আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন বা নকল করা চলবে না।” তিনি বলেন “এ নকল ব্যবস্থার ফলে বিগত সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাই শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য অবশ্যই নকল প্রতিরোধ করতে হবে। নকলের উপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নীতি জিরো টলারেন্স।” সোমবার সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) এর আওতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে অধিভুক্ত কলেজের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণার্থীদের (৩৭ থেকে ৩৮তম ব্যাচ) হাতে সনদপত্র ও ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ।
উপাচার্য বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে ফেরানোর পাশাপাশি বর্তমান সিলেবাসকে সংস্কার করে যুগোপযোগী করার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সের সাথে স্কিল বেইজড শিক্ষার সংমিশ্রণে অধ্যায়নের ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে দেশে বেকারত্বের হার ধীরে ধীরে কমে যায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য শিক্ষকদের নিজ সম্মান ও ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে কলেজে রাজনীতি না করে ছাত্র-ছাত্রীদের যথাযথ শিক্ষা প্রদানে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও অন্যান্য কাজের সাথে সম্পৃক্ত করে তাঁদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।”
স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ফকির রফিকুল আলম এর সভাপতিত্বে সনদপত্র ও ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সালমা পারভীন।
Discussion about this post