স্টাফ রিপোর্টারঃ সেই ১৭টি বছর ধরে নিঃষ্পেষিত আওয়ামী শাষন আমলের নানা হামলা-মামলা, নির্যাতনের শিকার, নানা বৈতরনী পেরিয়ে আজ একজন সফল নেতা হুমায়ন কবির রাজু। তৃনমুল থেকে বেড়ে ওঠা এই নেতার জীবনের সোনালী দিন কেটেছে নানা প্রতিকূলকতার মধ্য দিয়ে। জীবনে অনে ঝড় বয়ে গেছে তার ওপর। নির্যাতনের স্ট্রীম রোলারে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে তার পুরো পরিবার। তবুও হাল ছাড়েনি। শক্ত হাতে হ্যান্ডেল করে তিনি আজ একজন সফল রাজনীতিবিদ। হুমায়ন কবির রাজুর দিন কেটেছে রাজপথে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। দলকে আকড়ে ধরে জীবন বাজী রেখে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন। তুখোড় বক্তা ও রাজপথের রনাঙ্গনের সাহসী বীর সেনানী তিনি। ছাত্র হিসাবে ছিলেন মেধাবী ও অসীম সাহসী। তিনি ৩৬ বৎসর রাজনীতির বয়সে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে জোড়ালো ভুমিকা রাখেন এবং সদ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদ হটানোর পেছনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য, গাজীপুর বৃহত্তর সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক প্রচার সম্পাদক, গাজীপুর সদর থানা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ন আহŸায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, গাজীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি, গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক, গাজীপুর মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক, গাজীপুর মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, গাজীপুর মহানগর বিএনপি ও গাছা থানা বিএনপি’র সন্মানিত সদস্য পদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৩ সালে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের জাতীয়তা ছাত্রদল বিএনপির মনোনীত ভিপি পদে নির্বাচন করেছিলেন। এভাবে দীর্ঘসময় ধরে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে দলের গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ‘দলের দুর্দিনে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে সোচ্চার ছিলাম। আমরা সবাই মিলে সফল হয়েছি, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা নিজের জীবন রক্ষার জন্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ভারতে। সেখানে বসে হাসিনা একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে যদিও সেই ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের সবার প্রিয়নেতা তারেক রহমান বলেছেন; বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম ত্যাগ বঞ্চনা সহ্য করে বিএনপি জনগণের যে আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে, কিছু বিপথগামী চাঁদাবাজ দখলদারদের হঠকারিতায় সেই আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে, সেটা সহ্য করা হবেনা। যাই হোকনা কেন আমাদের দল সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, ১৭ বছরে আওয়ামী শাষনে আমি ১০/১২টি মিথ্যা গায়েবী মামলার মিথ্যা আসামী হয়ে ফেরারী জীবন-যাপন করেছি। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের অবস্থানরত রোহিঙ্গারা যখন চরম খাদ্য সংকটে ভুগছিল তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণসামগ্রি দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় এসময় আমিও নেত্রীর গাড়ীবহরের সাথে সঙ্গি হয়েছিলাম। তৎকালীন সময়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা আমাদের গাড়িবহরে হামলা করা হয় এবং আমি সেখানে আঘাতপ্রাপ্ত হই এসময় আমাকে বিএনপির মহাসচিবসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে গিয়ে আমার খোজ-খবর নেয়। শুধু তাই নয়, গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ ছাত্রদল প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ছাত্রলীগের বাহিনা দ্বারা আমাদের উপর হামলা ও গুলি বর্ষন করে, এতে আমি গুলিবিদ্ধ হই। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও হামলাকারীদের বিচারের দাবীতে উত্তাল হয়ে ওঠে গাজীপুর শহর।
Discussion about this post