স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা :: খুলনা মহানগরীতে জুলাই ঘোষণা পত্রের গুরুত্বসহ ৭ দফা সংবলিত লিফলেট বিতরণ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে নগরীর পিটিআই মসজিদে প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক তানজিল মাহমুদ ও নাইম আহমদের উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক কমিটির স্থানীয় প্রতিনিধি আহমেদ হামীম রাহাত, ফরিদ পাঠান, এম সাইফুল ইসলাম, শরীফ আসাফুল হাবীব সাজিদ, ইকবাল হোসেন মোড়ল, মো. রমজান শেখ, মতিউর রহমান, মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, জহির হোসাইন, মোঃ জায়েদুর রহমান প্রিন্স, মো: নুরজ্জামান তুহিন, ইমরান হোসেন,নাসিব আহসান রুমি ও ইমাম হোসেন প্রমূখ। এসময় ৭ দফাকে জুলাই ঘোষণা পত্রে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
জনগণের কাছে দেয়া লিফলেটে উল্লেখ করা দাবী গুলো হলো জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং আহতদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয় ভাবে সুচিকিৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করতে হবে। অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। ঘোষণাপত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
এ ছাড়া ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যোগসূত্র রেখে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করতে হবে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে। এতে বলা হয়, নিপীড়িত ও মজলুম জনগোষ্ঠীর লড়াই হিসেবে আমরাও জনগণের সামনে একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি। ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দালিলিক প্রমাণ হিসেবে সুরক্ষিত থাকে। ঘোষণাপত্র অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতার উৎস এবং পরবর্তী সংবিধানের ভিত্তিমূল উল্লেখ করে বলা হয়, এ ঘোষণাপত্রই হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতার উৎস এবং পরবর্তী সংবিধানের ভিত্তিমূল। নাগরিক কমিটির সংগঠকরা স্থানীয় মানুষদের সাথে মতবিনিময় করেন ও তাদের মাঝে জুলাই এর ঘোষনাপত্রের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
Discussion about this post