নতুন একটি কর আইনের বিরুদ্ধে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা পার্লামেন্টে ভাঙচুর করার চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস এবং গুলি ছুড়ে।
এতে অন্তত পাঁচ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন মানুষ। পার্লামেন্ট ভবনের একাংশে আগুন ধরে যেতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টে কর বৃদ্ধির একটি নতুন আইন পাসের পরই ভবনপ্রাঙ্গণে চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা। তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর শুরু করে। এরপরই পার্লামেন্টের ভেতর থেকে দেখা যায় আগুনের শিখা।
পুলিশের গুলি, টিয়ার গ্যাস, জলকামান ছুড়তে শুরু করে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদিক পার্লামেন্টের বাইরে অন্তত ৫ বিক্ষোভকারীর লাশ দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তবে এক চিকিৎসাকর্মী বলছেন, পুলিশের গুলিতে অন্তত ১০ নিহত হয়েছে। আরেক চিকিৎসাকর্মী জানান, আহত হয়েছে ৫০ জনের বেশি মানুষ।
এরই মধ্যে জীবনযাত্রা ব্যয় সংকটে থাকা কেনীয়রা দেশে কর বাড়ানোর বিরোধিতা করছে। বিক্ষোভকারীঢদের অনেকেই প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতোর পদত্যাগও দাবি করছে।
মঙ্গলবারের বিক্ষোভে এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা চাই পার্লামেন্ট বন্ধ করে দিতে। আর সব এমপিরও পদত্যাগ করে সরে যাওয়া উচিত। আমরা নতুন সরকার পেতে চাই।”
এদিন কেবল পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণেই নয় দেশজুড়ে অন্যান্য শহর এবং নগরেও বিক্ষোভ-সংঘর্ষ হয়েছে।
Discussion about this post