নিজস্ব প্রতিবেদক:: জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আহত ১০০ জনকে বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আজকে আমার সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে নরমাল ভিজিট ছিল। আমার সঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ছিলেন। আমরা অনেক বিষয়ে কথা বলেছি। আপনারা জানেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে নিহত ও আহত হয়েছেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা এ বিষয়ে একটা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাইকে তো আর নেওয়া যাবে না, তবে একেক জন একেকভাবে আহত হয়েছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আহতদের মধ্যে থেকে কিছু সংখ্যক আমরা পুলিশ বাহিনীতে নেবো। আমরা দ্রুত এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করবো। আপাতত ১০০ জন আহতকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি। পরে আমরা এ সংখ্যাটা আরও বাড়াবো।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিগত সরকারের আমলে সব থেকে বড় সমস্যা ছিল মানিলন্ডারিং। মানিলন্ডারিং নিয়ে আমি সিআইডি প্রধানকে সব থেকে বেশি নির্দেশনা দিয়েছি। আমি সিআইডি প্রধানকে বলেছি যেন দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করে লাভ নেই। আমি একটা রিপোর্ট চাই, কারা কারা মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, সেটা আমি সিআইডিকে বলেছি। যদি তদন্তের নামে দুই থেকে তিন বছর চলে যায় তাহলে তো এটার কোনো কার্যকারিতা থাকে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ট্রাফিকের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা এক হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ৪০০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরও একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম যে, বিভিন্ন বাহিনী থেকে যারা অবসরে গেছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত করতে। তবে অবসরপ্রাপ্তরা এ বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে আসতে চাইবে, কিন্তু ওই রকম সংখ্যা আমরা পাইনি। তবে আমরা আপাতত ৫০-৬০ জনের মতো পেয়েছি। আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ৫০০ জন দিয়ে শুরু করি।
শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে ট্রাফিকিংয়ের বিষয়টা কেমন হবে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন পড়াশোনা ঠিক রাখতে পারে সেজন্য তাদের আমরা সময়টা কম দিয়েছি। তারা যেন পড়াশোনাও করতে পারে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেছি। তাদের একটা সম্মানিও দেওয়া হচ্ছে। তারা রাস্তায় ২-৩ ঘণ্টা কাজ করবে।
Discussion about this post