নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর লাশ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। এই ছবি শুধু ফেলানীর লাশের ছবি নয়, এই ছবি কাঁটাতারে বিদ্ধ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব। আ.লীগের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফল ফেলানি হত্যা। তাই নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতিকদের ভারত তোষণনীতির বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্ত আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ফেলানী হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ফাঁসি দাবি করি, তা না হলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না। বাংলাদেশের নাগরিকদের বিএসএফ বিনা বিচারে হত্যা করে। যা অমানবিক। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্ত্রহাতে ভারতীয় বিএসএফ বারবার ঢুকে পড়ে, যা আমাদের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন স্বাধীনতার লঙ্ঘন।
এসময় তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে চীন, মিয়ানমার, নেপালা, ভূটান, পাকিস্তানের পারস্পরিক সীমান্ত থাকলেও শুধু বাংলাদেশ সীমান্তে তারা অমানবিকভাবে সীমান্ত হত্যা করে। যা খুবই দুঃখজনক, ন্যক্কারজনক মানবতা বিরোধী অপরাধের শামিল। ভারতকে সীমান্ত আগ্রাসন, বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ভারত তোষণনীতির কারণেই সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই ভারত সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন সম্পর্কে পতিত আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে মনে হতো, তারা বাংলাদেশের মন্ত্রী নয়, তারা ভারতীয় জনপ্রতিনিধি।
এছাড়াও লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, খুলনা মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ একেএম সাইফুদ্দোহা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, তরুনদলের সিনিয়র সহ সভাপতি টি এইচ তোফা, গণফোরাম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু প্রমুখ।
Discussion about this post