নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করে বলেন, ১৭৭৬ সালে নিজেদের প্রতিনিধি বেছে নেয়া এবং ভাগ্য নির্ধারণের জন্য আমেরিকার জনগণের সংগ্রাম বিশ্বজুড়ে মানুষের কন্ঠে অনুরণিত হয়েছে এবং এখনও হয়।
তিনি বলেন, আমার দেশের স্বাধীনতা দিবসে আমি বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি ও স্বাধীনতার সংগ্রামে তাদের সাথে সংহতি জানাতে চাই। আমরা সবাই জানি যে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান নির্মাতারা যেমন বলেছেন, স্বাধীনতার সুফলকে সুরক্ষিত ও অটল রাখার পথ সর্বদা সহজ বা মসৃণ হয় না। প্রত্যেক প্রজন্মকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়।
পিটার হাস বলেন, আমি সবসময় চেষ্টা করেছি আমাদের দুই দেশের মানুষ সহযোগিতা করতে পারে এমন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে। এর অনেক উদাহরণের মাঝে একটা হল, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশের সাংবাদিক ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকদের লক্ষ্য এক। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা এবং একে অপরকে এটি অর্জনে সহায়তা করতে আমাদের উভয় দেশের মানুষকে একত্রিত করার জন্য কাজ করি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি তা আমাদের দুই দেশের সহযোগিতার একটি মূল ক্ষেত্রকে তুলে ধরেছে: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আমাদের উভয় দেশের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল জলবায়ুর ক্ষেত্রে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের একটি মূল ক্ষেত্র এই ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তার জন্য একসাথে কাজ করা।
একসাথে কাজ করলে দুই দেশই সমস্যা সমাধানে আরও বেশি সক্ষম হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে পিটার হাস বলেন, আমাদের উভয় দেশই জনগণের সুরক্ষা এবং তাদের শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ জীবনযাপনে সহায়তা করতে চায়।
Discussion about this post