স্টাফ রিপোর্টার :: গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়িতে নিখোঁজের দুইদিন পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবনের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে কোনাবাড়ি থানার পুলিশ। নিহত জুনায়েদ হোসেন (১১) টাঙ্গাইল সদর থানার গোলচক্কর এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে। শিশুটি মা শাহিদা আক্তার ও বড় বোন জান্নাতি আক্তারের সাথে আমবাগ পশ্চিমপাড়ায় ভাড়া থাকতো।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসা থেকে বের হয় শিশু জুনায়েদ। এরপর আর বাসায় ফিরে আসেনি সে। পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়-স্বজনের বাসাসহ আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরদিন মঙ্গলবার জুনায়েদের সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। বুধবার সকালে আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের পাশের গলিতে শিশুর লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে স্বজনরা জুনায়েদের লাশ সনাক্ত করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নানী সুরাতন নেছা বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে জুনায়েদের বাবা দুলাল হোসেনের সাথে শাহিদা আক্তারের বিয়ে হয়। দুই বছর আগে স্ত্রী শাহিদাকে ডিভোর্স দিয়ে বিদেশে চলে যান দুলাল। মেয়ে জান্নাতি (১৮) ও ছেলে জুনায়েদকে নিয়ে গাজীপুরে এসে সামান্য বেতনে গার্মেন্টে চাকরি নেন শাহিদা আক্তার ও মেয়ে জান্নাতি। অনেক কষ্টে চলতো তাদের সংসার। তাদের কারো সাথে শত্রুতা ছিল না। কেন কারা তাকে হত্যা করেছে বুঝতে পারছেন না।
বড় বোন জান্নাতি বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি তার ভাই। অনেক খুজে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করেছেন। বুধবার সকালে তিনিও তার মা কর্মস্থল ছিলেন। বেলা ১১ টারদিকে খবর পান ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে। জুনায়েদ পড়াশোনা করতো না। তিনি ভাই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানার এসআই হেলাল উদ্দিন জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আচড়ের দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভবন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
Discussion about this post