আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি:-নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জমি ভোগ-দখলে বাঁধা প্রদান, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভূগি ১৬ পরিবার।
মঙ্গলবার(৩১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের মালিগাছা এলাকায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন এসব অভিযোগ করেন ভূক্তভূগি পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে বড় বোন তানজু বেগম, রুমি বেগম, মোছা. তানজু বেগম, বোন জামাই মৃদুল, মোঃ বাদশা, বড় বোনের ছেলে মো. স্বপন আলীসহপরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ভূক্তভূগি মৌসুমী সরকার বলেন, ১৯৮৬ সালে মৃত আমজাদ আলী সরকারের কাছ থেকে আমার বাবা মৃত জমসেদ আলী সরকার ১৪০ শতাংস জমি ক্রয় করেন। যার ২৭, ১৫৮ ও ২৩৭ নং খতিয়ান মূলে এবং ওয়ারিশ নিজে জমি ভোগ-দখল করে আসছিলেন। এরপর ২০১৭ সালে আমার বাবার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে আমরা ১৬ জন ভোগ করছিলাম। গত ২৯ নভেম্বর সকালে মৃত আমজাদ আলী সরকারের ছেলে ফিরোজ আলম, সামসুল আলম, হাসান আলী, ফেরদৌস আলমসহ ৯০/১০০ জন ভূমি দস্যুদের নিয়ে হাতে লোহার রড, কাঠের বাটাম ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের ফলসের জমিতে জোর করে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ শুরু করে। এসময় আমরা তাদের বাঁধা দিতে গেলে আমার বড়ভাই সোহেল রানা, সিদ্দিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান, বোন জামাই মৃদুল, বড় বোন তানজু বেগম, রুমি বেগমকে এলোপাথারি ভাবে মারপিট করে। এসময় আমার বোন মোছা. তানজু বেগম ও মোছা. রুমি বেগমের গলায় ওর্না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যারও চেষ্টা করে তারা। এবিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ তাদেরকে জমিতে না আসতে নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবার ক্রয় সম্পত্তি কেন তারা তখল নিতে আসবে।আমাদের দলিল, খাজনা, খারিচ সব আমাদের ওয়ারিশের নামে। আমরা নিয়মিত সব প্রদান করছি। আমরা জমিত
গেলে আমাদের ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে বলে প্রতিনিয়তই হুমকি দিচ্ছে। এমনকি আমাদের প্রাণনাশও হুমকি দিয়েছে। কেন আমাদের বাবার জমি অন্যজন অন্যায় ভাবে দখল করতে আসবে। দেশে আইন রয়েছে। দেশের আইন-আদালত যে রায় দেবে আমরা তা মেনে নিবো। তবুও অন্যায় ভাবে আমাদের সম্পত্তি কাউকে নিতে দেবো না। সেজন্য আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ অনুরোধ করছি।
অভিযুক্ত মো. ফিরোজ আলম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এসব সব কথা মিথ্যা। আপনাদের পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত সব জানানো হবে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমিনুল হক বলেন, আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে থানায় মীমাংসার জন্য বসেছিলাম কিন্তু একপক্ষ হট্রগোল করে চলে যান। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সুতরা এ বিষয়ে আমাদের করনীয় কিছু থাকে না।
Discussion about this post