স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী :: গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী বিসিক এলাকায় একটি ওষুধ কারখানার ওয়েস্টেজ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় টঙ্গী বিসিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত টঙ্গী থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক সোহেলকে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। সোহেল টঙ্গীর গোপালপুর এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
সংঘর্ষে আহত অন্যরা হলেন, টঙ্গী থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রনি (৩৫), ছাত্রদল নেতা সোহান (২৫), সাবেক ছাত্রদল নেতা সাব্বির (২৬) ও জামাল (৩০), বাদশা (৩০), নয়ন (৩৫), হৃদয় (৩২)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন দলবল নিয়ে বিসিকের রেডিয়েন্ট ওষুধ কারখানার ওয়েস্টেজ মালামাল আনতে যায়। এসময় টঙ্গী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন দলবল নিয়ে বাঁধা দেয়। এসময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হন। পরে গাজী সালাউদ্দিন পক্ষ ওয়েস্টেজ মালামাল নিয়ে যায়। এসময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা গেলেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাহ উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে লিখিত চুক্তি করেছে। আমার লোকজন বৈধভাবে মাল আনতে গেলে কতিপয় লোক বাঁধা দেয়। এসময় তাদের হামলায় আমার তিনজন লোক আহত হয়েছে।
অপর পক্ষের নেতা টঙ্গী থানা (অবিভক্ত) যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন এম.কম বলেন, আমাদের দলের কিছু লোক আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়ে বিসিকের একটি কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে যাচ্ছে-এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের পাঁচজন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, বিসিকে একটি কারখানার ওয়েস্টেজ মাল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়েছি। গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ না করায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
Discussion about this post