গাজীপুর প্রতিনিধিঃ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরায় পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ১৯শে জুলাই শুক্রবার সারাদেশের আলোচিত উত্তরায় ছাত্র জনতার আন্দোলনের হামলায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে সঙ্গীয় গাছা থানার ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মাসুদ রানার মুখ্য ভূমিকা ছিল বলে জানা যায়। বুধবার (২৫ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৫নং ওয়ার্ডের শহীদ সিদ্দিক সড়কের একটি রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার উপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড-সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেসব মামলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গাছা মেট্রো থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুমনের নেতৃত্বে সংগীয় ফোর্স বিশেষ এক গ্রেপ্তারাভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় ব্যাক্তিরা জানান মাসুদ রানা গাছা থানা এলাকায় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ছত্রছায়ায় অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। একই থানার ৩২ নং ওয়ার্ডের বসুরা গ্রামের কবির হোসেনের একমাত্র ছেলে এই কালা মাসুদ। ছেলের ছাত্রলীগ সভাপতির প্রভাবে কবির হোসেন বহু বছর ধরে মাদক ব্যবসার সাম্রাজ্য চালাচ্ছেন। বাপ ছেলের নামে বুসরা, ঝাজর ও বোর্ড বাজার এলাকায় একাধিক বাড়ি ও জায়গা জমি রয়েছে। কবিরের নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। এলাকার মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন, টেন্ডার বাণিজ্য, গার্মেন্টসের জুট বাণিজ্য, ফুটপাতে চাঁদাবাজি-সহ সকল অপকর্মে জড়িত ছিলো এই কালা মাসুদ । স্থানীয়দের মতে এলাকায় কেউ ভবন নির্মাণ করতে গেলেও মোটা অংকের চাঁদা দিতে হতো মাসুদ -সহ তার সংগীদের। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকালীন তার মুঠোফোনটি জব্দ করার চেষ্টা করলে কৌশলে সে ফোনটি অপর সঙ্গীদের নিকট হস্তান্তর করে দেয়। সেসময় তার সঙ্গীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। জানা যায়, সে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিদেশে পারি জমানোর সকল বন্ধোবস্ত ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছিলো। বিদেশ যাবার পরিবর্তে শ্রী-ঘড়ের বাসিন্দা হওয়ায় নিপীড়নের শিকার এলাকাবাসীরা স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়েছেন। গ্রেপ্তারের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে নগরীর গাছা মেট্রো থানা পুলিশের অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ গণমাধ্যমকে জানান তার বিরুদ্ধে গত ২৭সেপ্টেম্বর গাছা থানার ২০নং সন্ধিগ্ধ (সন্ধিহান/অজ্ঞাত) মামলায় তাকে বুধবার রাত পৌনে ১০টায় নগরীর গাছা থানাধীন সুলতান হাসপাতালের পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রয়োজনীয় আইনানুগ প্রকৃয়া গ্রহণ শেষে তাকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে সর্পোর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post