আগামী দিনে গাজায় হামলার তীব্রতা কমার কথা বলেছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু এই বক্তব্য রাখার পরের দিনই গাজায় মিসাইল হামলা চালাল ইসরাইলি ফৌজ। ত্রাণশিবির লক্ষ্য করেই হামলা হয়েছে বলে খবর। জোড়া মিসাইল হামলায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে রাফায়। যদিও ত্রাণশিবিরে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরাইল।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুটি এলাকায় আছড়ে পড়ে ইসরাইলের মিসাইল। শাতি এলাকা শরণার্থী শিবিরের কাছে একটি ত্রাণবন্টন কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় তিন জনের। ইসরাইলি সেনার অপর মিসাইলটি আছড়ে পড়ে গাজার দক্ষিণে বানি সুহেলা এলাকায়। সেখানে আটজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। উল্লেখ্য, মৃতদের তালিকা রয়েছেন গাজায় ত্রাণ বিলি করতে যাওয়া ট্রাকের গার্ডরাও। যদিও মিসাইল হামলা নিয়ে ইসরাইলের তরফে কিছুই বলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, হামাস নিধনে গত আট মাস ধরে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে তেল আভিভ। আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ, আমেরিকার হুঁশিয়ারি, বিভিন্ন দেশের হাজারো চাপ টলাতে পারছে না নেতানিয়াহুকে। এর মাঝেই রবিবার ইসরাইলের এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, ‘আগামিদিনে গাজায় লড়াইয়ের তীব্রতা কমবে। কিন্তু এই যুদ্ধের অবসান হবে না। যতদিন না প্যালেস্তিনীয় ভূখণ্ড থেকে হামাসের নাম মুছে দেয়া হচ্ছে ততদিন এই লড়াই চলবে।’
কিন্তু আক্রমণের তীব্রতা কমার কথা মুখে বললেও কাজে সেটা করছে না ইসরাইলি ফৌজ। গত শুক্রবার এবং শনিবার ইসরাইলের আক্রমণে গাজায় মোট ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার পরে সোমবার ফের মিসাইল হামলা চলেছে গাজায়। আবারও ঝরেছে নিরীহ আমজনতার রক্ত। ত্রাণ নিতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কবে থামবে গাজার ‘গণহত্যা’? প্রশ্নের উত্তর নেই।
Discussion about this post