ক্রীড়া প্রতিবেদক :: প্রথম ওয়ানডেতে সেন্ট কিটসে দারুণ ব্যাটিং করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে একই উইকেটে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। কিন্তু ভাগ্য বদলায়নি কোনওটিতেই। দুই ম্যাচ হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ খুঁইয়েছে। এবার হোয়াইটওয়াশের এড়ানোর মিশনে বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হাতছাড়া হওয়া বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার। তবে ওয়ানডে ফরম্যাটে ভালো দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি মান রক্ষার। ফলে শেষ ম্যাচ অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ মেহেদী হাসান মিরাজদের জন্য। আজ বৃহস্পতিবার সেন্ট কিটস এন্ড নেভিসে ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।
টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে ভিন্ন রূপেই দেখা গিয়েছিল। প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয়টি জিতে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে শেষ করেছিল। তাই প্রত্যাশা ছিল ওয়ানডে সিরিজ হয়তো নিজেদের করে নিতে পারবে। এমন প্রত্যাশার কারণ বিগত পরিসংখ্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিগত ১০ বছরে কোন সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের পর দেশে ও দেশের বাইরে সবখানেই ছিল বাংলাদেশের অধিপত্য। এবারই কেবল হতাশাজনক পারফরম্যান্স এসেছে। গত দুই ওয়ানডেতে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার খেসারত দিয়েছে টিম বাংলাদেশ। সেন্ট কিটসে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ নামবে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে।
ব্যাটিংয়ের কারণে ওয়ানডে সিরিজে এমন ভরাডুবির কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিরাজ, ‘আমরা মাঝের ওভারগুলোয় ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। কোনো জুটি গড়তে পারিনি, আর একের পর এক উইকেট হারিয়েছি। মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব ভালো খেলেছেন, কিন্তু ব্যাটিংয়ের ভুলগুলোই আমাদের ডুবিয়েছে।’
টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে পায়ের তলার মাটি খুঁজে না পেলেও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ সব সময় সমীহ জাগানো দল। কিন্তু এই ফরম্যাটেও এখন ভালো করতে পারছে না তারা। চোটে পড়ায় দলে মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়ের মতো নিয়মিত কয়েকজন ক্রিকেটার নেই। তাদের অনুপস্থিতিতেই কি এমন অবস্থা? মিরাজ বলেছেন, ‘আমরা যদি সেরাটা দিতে পারি, তাহলে জয় সম্ভব। দলে কে আছে বা নেই, তা নিয়ে ভাবি না। আমরা যারা আছি তাদের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে। এই উইকেটে আরও শৃঙ্খল থেকে স্টাম্প টু স্টাম্প বোলিং করা জরুরি।’
বাংলাদেশ শেষ কবে ওয়ানডেতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল? এমন কিছুর উত্তরের জন্য ফিরে যেতে হবে অনেক পেছনে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের মার্চের পর ১৫টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এ সময়ে কোনো সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়নি। সবশেষ ২০২১ সালে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছিল। এরপর ১৫ দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ৯টিতেই বাংলাদেশ জিতেছে। বাকি ৬টিতে হেরেছে। যার একটিতেও অবশ্য হোয়াইটওয়াশ হয়নি। বাংলাদেশ এবার কি পারবে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে?
Discussion about this post