আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- সরকারি নিয়ম ও আইনের তোয়াক্কা না করে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই নাটোরের লালপুরে বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমিতে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্র-তত্র ভাবে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। ফলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর এসব ইটভাটার কারণে কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ ও নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা। ফলে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ফসলি জমি।
এছাড়া ইট পুড়ানো কাজে বনজ ও ফলজ গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে বিভিন্ন প্রজাতের ফলজ ও বনজ গাছ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। আর কালো ধোঁয়ার কারণে আসন্ন আম ও লিচুর মুকুলের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করেছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে স্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ছোট শিশু থেকে শুরু করে সব ধরণের মানুষ। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে জনসাধারণ। জানা যায়, উপজেলার পদ্মা নদীর চর ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,থানা ভবন ও লালপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নিকট সহ সড়কের পাশে এবং লোকালয়ে প্রায় ৩৩ টি অবৈধ ইটভাটা আছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে অইনাণুগ ব্যবস্থা গ্রহনের কোন প্রকার প্রদক্ষেপ চোখে পড়েনা বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। এমনকি ইটভাটা গুলোতে তেমন কোন অভিযান দেখা যায় না। স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলায় এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তুলেছে সচেতন মহল।
লালপুর সদরের কৃষক বাদশা, মফিজ,করিম ও লিটন বলেন, ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে রবি শস্য সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে আম ও লিচুর মুকুল নষ্ট হয়ে যায় এবং আমের গুটি গুলোতে কালো দাগ দেখা দেয়।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এক ইটভাটার মালিকের সহকারী বলেন, লালপুরে ৩৩টির মতো ইটভাটা আছে। বনজ ও ফলজ গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে প্রায় ২০ টি ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, সরকারী ভাবে ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করা নিষেধ আছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মেহেদী হাসান বলেন,অবৈধ ইটভাটা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Discussion about this post