আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি : বার্ষিক পরীক্ষার খাতায় “১ নং প্রশ্নের উত্তর: এই মা…..দ স্যার কি প্রশ্ন দিশ। কমন পড়ে না একটাও, কিছু পারি নাই। পাশ করিয়ে দিশ।” উত্তরপত্রের শুরুতেই এভাবেই অস্বাভাবিক লেখা উত্তরপত্রের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
উত্তরপত্রের ওই লেখাতে স্যারকে বাজে ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে ও অসম্মানজনক ‘দিশ’ বানান ভুল লেখা হয়েছে (শুদ্ধ বানান হবে ‘দিস’)। ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা গেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার দিঘলকান্দি দাখিল মাদ্রাসা’র সিলযুক্ত বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র। সেখানে ছাত্রের নাম লেখা মো. জাহিদ, শ্রেণী—৮ম, রোল—০৬, বিষয়—ডিজিটাল, তারিখ—২/১২/২৪। উত্তরপত্রটির সাথে প্রশ্নপত্রের আংশিক ছবিও রয়েছে। এই ছবিটি অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে সংশ্লিষ্ট ছাত্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বড়াইগ্রামের কন্ঠস্বর নামে ফেসবুক পেইজে সোমবার সকালে এই ভাইরাল উত্তরপত্রটি পোস্ট দেওয়ার পর দেখা গেছে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে এই লেখার নিন্দা জানিয়ে মতামত প্রকাশ করেছে। আবির মাহদুদ নামে একজন লিখেছেন, ‘পারিবারিক শিক্ষার অভাব আছে। যার কারণে শিক্ষকদের সম্মান দিতে জানে না।’ সাগর আহমেদ লিখেছেন, ‘আজীবন এর জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করা হোক, এরা কখনোই দেশ ও জাতির জন্য ভাল কিছু আনবে না।’ নাসিম আহমেদ শিমুল নামে একজন আক্ষেপ করে লিখেছেন, ‘ঠিকই আছে, বর্তমান সময়ের ছাত্রদের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা ঠিক না।’
দিঘলকান্দি দাখিল মাদ্রাসা’র সুপার মো. হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইউএনও মহোদয়ও এ বিষয়ে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। তবে এই উত্তরপত্রটি কোন ছাত্রের তা আমরা সনাক্ত করতে পারি নাই। জাহিদ নামে ৮ম শ্রেণির ছাত্র আছে কিনা জানতে চাইলে ওই মাদ্রাসা সুপার জানান, এই নামে ছাত্র আছে। তবে সে তার সকল পরীক্ষা যথাযথভাবে দিয়েছে। অন্য কোন ছাত্র জাহিদ এর নাম ও পরিচয় দিয়ে এই অপকীর্তি করেছে বলে মনে হচ্ছে।
Discussion about this post