পূবাইল (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুর মহানগরের পূবাইলে জমি বায়নার ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে নূরে আলম এর বিরুদ্ধে।সামান্য একজন বেকার যুবক হতে কোটিপতি বনে যাওয়া আলমের ইতিহাস যেন গল্পের আলাউদ্দিনের চেরাগ।জমি ব্যবসার নামে নানা হঠকারিতা ও প্রতারণাকে পুঁজি করে নইপাড়া এলাকায় বাগান বাড়ি নামে গড়ে তুলেছেন একটি বহুতল ভবন।প্রায় সময় জমি বেচাকেনার নাম করে মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে একাধিক ব্যক্তির নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক নূরে আলম।তেমনটিই ঘটেছে কালিগঞ্জ থানার পারাবর্তা এলাকার ওয়াজেদ ভূইয়ার সাথে।অভিযোগসূত্রে ওয়াজেদ ভুইয়া জানান,পূবাইল থানাধীন কামারগাও মৌজা স্থিত নূরে আলমের নামে থাকা চার শতাংশ জমি আমি ক্রয় করতে চাইলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নূরে আলম কে আমি এককালীন নগদ ১২ লক্ষ টাকা বায়না দেই। বায়না দেওয়ার সাত দিন পর আমি জানতে পারি তার জমির কাগজপত্রে গরমিল রয়েছে।জমিতে ঝামেলা থাকায় আমি আমার বাইনার ১২ লক্ষ টাকা ফেরত চাই। পরবর্তীতে লোকজন নিয়ে আমার পাওনা টাকা নুর আলম এর নিকট চাইলে সে একাধিকবার তারিখ ধার্য করে। গত ১২ নভেম্বর সাড়ে ১১টার দিকে নূরে আলম আমাকে ফোন দিয়ে পরের দিন মিরের বাজার আসতে বলে তার কথা মতো পরের দিন ১৩ ই নভেম্বর আমি মীরের বাজার এসে তার ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন দিলে পাওনা টাকা চাইলে আমার সাথে তালবাহানা ও প্রতারণার মূলক কথাবার্তা বলে।এই ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান উলুখোলা এনআরবিসি গ্লোবাল ব্যাংক শাখা থেকে ওয়াজেদ ভূইয়া এককালীন ১২ লক্ষ টাকা নগদ প্রদান করে। এ বিষয়ে নুর আলম কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জনবানীকে জানান জমি বিক্রির উদ্দেশ্যে ওয়াজেদ ভূইয়া কে কাগজ দিয়েছি সত্য কিন্তু টাকা লেনদেনের ঘটনাটি মিথ্যা। পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো. আমিরুল ইসলাম জনবানীকে জানান এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি ঘটনা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নিব।
Discussion about this post