স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী :: গাজীপুর মহানগরের পূবাইলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আলম মিয়ার ওপর হামলা করে মাথা ফাটিয়েছেন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন। সোমবার দুপুরে পূবাইল থানার ৪১নং ওয়ার্ডের বসুগাঁও এলাকার হালিম মার্কেটের সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে যুবলীগ-আওয়ামী লীগের ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করে ভুক্তভোগী আলমের স্ত্রী মনি আক্তার বাদী হয়ে পূবাইল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের পূবাইল থানার আহ্বায়ক সদস্য আলম মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকায় ইন্টারনেটের ব্যবসা করে আসছিলেন। আওয়ামী লীগ আমল থেকে জোরপূর্বক ব্যবসা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছিল আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতারা। এ পর্যন্ত আলমকে বহুবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েও সফল হননি তারা।
তবে গত সোমবার আবারও ব্যবসা দখল নিতে যুবলীগ নেতা সাইফুল আশপাশের এলাকা থেকে দলবল নিয়ে আলমের ওপর হামলা চালায়। এতে মারাত্মক আহত হন আলম। বর্তমানে তিনি শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূবাইল থানা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ জানান, আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। ওসি বলেছেন এ ঘটনায় মামলা নেবেন। তবে এখনও মামলা নেননি।
পূবাইল থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কাজল এ বিষয়ে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি পূবাইলে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার অপচেষ্টায় রয়েছে, আলমের ওপর হামলা তারই প্রমাণ। এ ঘটনার সঠিক বিচার হতে হবে, ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করতেই থানায় এসেছিল। ওসি আমাদের বলেছেন, মামলা নেবেন; অনতিবিলম্বে মামলা নিতে হবে, গড়িমসি করার কোনো সুযোগ নেই। পূবাইল থানার ওসি শেখ আমিরুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে।
Discussion about this post