নিজস্ব প্রতিবেদক :: চট্টগ্রাম মহানগরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এই চট্টগ্রাম শহর শুধু আমার একার নয়। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিছন্ন একটি গ্রীন, ক্লিন ও হেলদি সিটি চট্টগ্রামবাসিকে উপহার দিতে চাই। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর কাজীর দেউরি মোড়ে চট্টগ্রাম জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। তবে এখানে তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা রয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যত বেআইনি অস্ত্র আছে সব উদ্ধার করতে হবে। আর যত সন্ত্রাসী আছে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। চট্টগ্রাম একটি সুন্দর ও পরিছন্ন নগরীর পাশাপাশি একটি নিরাপদ শহরে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ। চট্টগ্রামের প্রথম শহিদ ওয়াসিমের নামে একটি পার্ক করার ঘোষণা আমি ইতোমধ্যেই দিয়েছি।
শ্রমিকদের দাবির কথা উল্লেখ করে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিকরা মারা গেলে যে জায়গায় নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ করছে, তাদের পারিবারিক সহযোগিতার জন্য আমরা সহায়ক হিসেবে কাজ করবো। মালিক পক্ষের কাছ থেকে নিহতের পরিবারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেবে সিটি করপোরেশন। একজন শ্রমিকও যেন কোনো ধরণের নির্যাতন, হয়রানি এবং জুলুমের শিকার না হয় এ দায়িত্ব আমাদের।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি নেতা আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নির্মাণ কাজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ শিল্পের সঙ্গে লাখ লাখ নির্মাণ শ্রমিক জড়িত। নির্মাণ শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতার মাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। অথচ শ্রমিকদের দেখভালের দায়িত্ব সংশ্লিষ্টরা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন। অন্যদিকে কর্মস্থলে অতি মুনাফালোভী মালিকরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যবহার না করে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক সাহেদ বক্স, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন প্রমুখ।
Discussion about this post