স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে ৫দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মুরুব্বি নাঈম শাহের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর শেষ হবে এই জোড় ইজতেমা। বিশ্ব ইজতেমার ৪০ দিন পূর্বে মূলত জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই জোড় ইজতেমায় দেশ-বিদেশের চিল্লাধারী মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন।
কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব এবং বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের আহমেদ অনুসারী গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রতি বছরই মূল ইজতেমার প্রস্তুতি হিসেবে ৪০ দিন পূর্বে জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে তাবলিগের দেশ-বিদেশের চিল্লাধারী সাথীরা পুরো বছরের কাজের কারগুজারি ও বড়দের রাহবারি নেওয়ার সুযোগ পান। জোড়কে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশের শূরায়ে নেজামের মুরুব্বি ও সাথীরা ইতোমধ্যে ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণে টিনশেড মসজিদে এসে পৌঁছেছেন। সেখানে স্থাপিত বিশেষ মিম্বর থেকে আগত সাথীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও দিকনির্দেশনামূলক বয়ান করছেন মুরুব্বিরা। মুরুব্বিদের বয়ানকালে মসজিদসহ আশপাশের এলাকায় পিনপতন নীরবতা নেমে আসে। শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের শীর্ষ মুরুব্বি ভাই নাঈম শাহ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা নূরুর রহমান। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কারগুজারি আমলের বয়ান করেন ভারতের বেঙ্গালুরুর মাওলানা ভাই ফারুক। বাদ জুমা বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা রবিউল হক, বাদ আসর বয়ান করেন মাওলানা ওমর ফারুক। এরপর মাদ মাগরিব কারগুজারি আমল হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৩১ জানুয়ারি বিশ^ ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে ১ ফেব্রুয়ারি শুরায়ে নেজাম তথা বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের আহমদ অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন। মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দিল্লির মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী অনুসারী তথা ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা।
Discussion about this post