আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- নাটোরের বড়াইগ্রামে এক স্বামীকে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সামনে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির দৈর্ঘ্য ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে। মারধরের শিকার উজ্জ্বল কুমার মন্ডল (২৫) বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর শ্মশানঘাট এলাকার সবজি ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ মন্ডলের ছেলে। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ই আগষ্টের পর আত্নগোপনে ছিলেন উজ্জ্বল। বুধবার দুপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য উজ্জ্বল বুধবার বাড়িতে আসেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁর ওপর হামলা করেন।গতকাল শুক্রবার আতিকুর রহমান নিজের ফেসবুকে ওই ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বনপাড়া পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি এম ইকবাল হোসেনের অনুসারী শ্রমিক দলের জালাল ভূঁইয়া, যুবদলের জাহাঙ্গীর আলম, শুভসহ ৭/৮ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে উজ্জ্বলের বাড়িতে এসে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। উজ্জ্বলের বৃদ্ধ মা-বাবা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাঁদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তারা আবার এগিয়ে এলে তাঁদের মারধর করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় তিনি হামলাকারীদের পা ধরে মারধর বন্ধ করার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে উজ্জ্বল অচেতন হয়ে গেলে তাকে বসিয়ে পানি খাওয়ানো হয়। পরে বিএনপির নেতারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ উজ্জ্বলকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাঁকে ফৌজদারি আইনের ১৫১ ধারায় আটক দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম আমলি আদালতে পাঠায়। আদালত ওই দিনই তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা উজ্জ্বল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাকে আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন
Discussion about this post