রোকনুজ্জামান, কোটচাঁদপুর: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জামায়াত নেতা মাষ্টার এনামুল হক হত্যা মামলার তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) সিআইডি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ এলাকাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের অপরাধ বিভাগ সিআইডি। এসময় তারা স্থানীয় ও স্বাক্ষীদের বক্তব্য নেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ আদালতে নিহতের ভাই বিএম তারিকুজ্জামান বাদী হয়ে সাবেক পুলিশ সুপার ও দুই এমপিসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিরা হলেন, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ ও শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল, সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, কোটচাঁদপুর সার্কেলের সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি শরিফুন্নেছা মিকি, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, এলাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁন, বলুহর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, কুশনা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা শেখ সোহেল আরমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তাজুল ইসলাম, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই সৈয়দ আলী ও কনস্টেবল সমির কুমারসহ ১৯ জন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম জানান, গত ১৬ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালত থেকে জামায়াত নেতা এনামুল হক হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব আসে পুলিশের অপরাধ বিভাগ সিআইডিতে। আদালতের নির্দেশ ও মামলার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য মাঠে নেমেছে সিআইডি।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) ইন্সপেক্টর কাজী কামাল জানান, আদালতের নির্দেশে জামায়াত নেতা হত্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্তে সিআইডি কাজ করছে। সঠিক তদন্ত শেষে অতি দ্রুত আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হবে। বাদীপক্ষের আইনজীবী রুস্তম আলী বলেন, এনামুল হক কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা তাকে তুলে নিয়ে যান। এ সময় তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলামের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে ফিরছিলেন। পরদিন শহরের নওদাগা গ্রামে এনামুল হকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। ওই সময় পুলিশ দাবি করে যৌথ বাহিনীর অভিযানে এনামুল নিহত হন।
Discussion about this post