গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার দক্ষিন খামের গ্রামের ইতালী প্রবাসী হাবিবুল্লাহ চৌধুরী সে স্বপরিবারে ইতালী বসবাস করেন। মাটিকাটা মৌজাস্থীত এসএ ১৭৩ আর এক ৩৬৯ নং খতিয়ানে কর্তমানে, সাবেক ১৩৪৩ আর এস. ৩০২০ নং দাগে- ৩২. ২৫ শতাংশ জমি চালা; সাবেক ১৩৪৪, আর এস ৩৮১৯ নং দাগে ১৫ শতাংশ জমি বাাড়ী, ভিটাসহ – ৪৭.২৫ শতাংশ জমি বিগত- ৬/১১/২০১৮ ইং সনে ৭৫৮৩ নং সাব কবলা দলিল মুলে মালিক হয়ে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে বর্তমানে প্রবাসে থাকায়, স্থানীয় সোলাইমান পিতা মৃত আদম আলী, কাপাসিয়া এসিল্যান্ড অফিসে পিয়ন হিসেবে কর্মরত আছেন। সুমন পিতা- সুলাইমান উপজেলা পিআইও অফিসের পিয়ন হিসেবে কর্মরত আছেন। পিতা-পুত্র, নিজ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারী আফিসে চাকুরীর সুবাদে নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ড অফিসের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসী হাবিবুল্লাহর জমি ভূমিদস্য পিতাপুত্র জবর দখলের পাঁয়তারা করছে, প্রবাসী হাবিবুল্লাহ ভাই আসাদুজ্জামান নুর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি বাধা দিলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। প্রসাশনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ তৃতীয় সহকারী জজ আদালত গাজীপুরে দেওয়ানী মোকাদ্দামা নং ১৭০/ ২০২৪ দায়ের করলে আদালত কর্তৃক স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন। জারি কারক সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে উক্ত জমিতে নিষেধাজ্ঞা নোটিশ জারি করিলে পিতা-পুত্র ও স্থানীয় হারুনগং মিলে জারি কারককে অপদস্ত ও অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। নোটিশ জারিকারক আমাকে কাপাসিয়া থানায় গিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা টি জমা দিয়ে অভিযোগ দিতে বললে ১৩ /১১ /২৪ ইং তারিখে আমি সশরীরে উপস্থিত হয়ে থানায় অভিযোগ করলে অফিসার ইনচার্জ কাপাসিয়া থানা,একজন এসআইকে দায়িত্ব দিলে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পিতা-পুত্রের জবর দখলের নির্মান কাজে বাঁধা দিলেও তারা নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের স্বরণাপন্ন হন। আরো বলেন, বিগত সরকারের সময়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক অফিস আদালতে অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার পাননি। এছাড়াও পিতা-পুত্র সরকারি চাকরির প্রভাব খাটিয়ে এলাকাবাসীর উপর বিভিন্ন সময় জুলুম নির্যাতন অত্যাচার চালিয়ে আসছে। কাপাসিয়া ও শ্রীপুরে রয়েছে অঢেল সম্পত্তি যাহা প্রশাসন তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। সরকারী অফিসে চাকরী করার সুবাদে বনে গেছেন পিতা- পুত্র ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক। পিতা পুত্রের একান্ত সহযোগী উত্তর খামের এলাকার মৃত দৌলত আলী ছেলে হারুন। সে বিগত ফ্যাসিস সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ভাগ্নির জামাই পরিচয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন যার শিকার ও হয়রানি মূলক প্রভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। বর্তমানে হারুন অন্তরবর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার নাম ভাঙ্গিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। একাধিকবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে পিতা-পুত্রেের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকদিন আগে কাপাসিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের একটি শুনানিতে ভুমি দস্যু-সুমন ও সুলাইমান গংদের পক্ষে- অসহায় কৃষক বাসির উদ্দিন -এর বিপক্ষে -উপদেষ্টাদের নাম ভাংঙ্গীয়ে ন্যায়বিচারকে প্রভাবিত করতে প্রতারণার আশ্রয় নেন হারুন। জানাযায় সুলাইমান ও তারপুত্র সুমন জেলার সরকারী ত্রানের ১৬বান টিন চুরি করে ভ্যান গাড়ি দিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা উপজেলার তরগাঁও মেডিকেল মোড়ে ভ্যান ও নসিমন ভর্তি ত্রাণের টিন সহ গাড়ি আটক করলে তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট উক্ত সরকারি টিন বিক্রি করে আসছে এবং তাদের নিজ ববসত বাড়ী ও বাংলো বাড়ি সরকারী ত্রাণের টিন দিয়ে নির্মান করেছে,তার প্রমাণ, ছবি ভিডিও ফুটেজ ও পত্র-পত্রিকার প্রকাশিত হলেও প্রসাশন কোন ব্যাবস্থা নেননি বলে জানান। ভূমিদস্যু সুমন ময়মনসিংহ জেলায় পিআইও অফিসের ভুয়া ঠিকানায় চাকুরী নিয়ে বর্তমানে নিজ এলাকা গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার ইউএনও অফিসের আওতায় পিআইও অফিসে কর্মরত আছে। যাহা তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বের হয়ে আসবে। বিগত ফ্যাসিস্টবাদী সরকারের নিয়োগ ভূক্ত গাজীপুর জেলা প্রসাশন বরাবরে অভিযোগ দায়ের করলেও তাহা কোন সুরাহা হয় নাই। সংবাদ সন্মেলন রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসী হাবিবুল্লার ভীটে-বাড়ী রক্ষার্থে তার ভাই আসাদুজ্জামান নুর বিশেষভাবে অনুরোধ করেন প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের স্বশরীরে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ঐ ভূমি দস্যু পিতা-পুত্রের হাত থেকে প্রবাসী তথা এলাকাবাসী কে রক্ষা করার জন্য।
Discussion about this post