সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডাকাতি করতে গিয়ে ছানোয়ারা বেগম (৪৮) ও তার ছেলে রাজকে (৮) হত্যার দায়ে তিন আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহানী পূশণ এ রায় দেন। সেই সঙ্গে তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী অরুপ রায়হান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে আলী আকবর, একই গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে লালচাঁদ মণ্ডল ও একই উপজেলার জোয়াদ্দারপাড়া এলাকার সেকেন্দার মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লা। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাঁদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলা সূত্রে জানা যায় , কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিনগত রাতে বসতবাড়িতে ছানোয়ারা বেগম ও তাঁর ছেলে রাজ ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় আসামিরা ডাকাতি করার জন্য তাদের বসতঘরে প্রবেশ করেন। ছানোয়ারা বেগম জেগে উঠে প্রতিবাদ ও চিৎকারের চেষ্টা করলে তাঁকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। একইভাবে ছানোয়ারা বেগমের ছেলে রাজকেও হত্যা করেন তারা। এরপর আসামিরা ছানোয়ারার গলায় মাফলার ও রাজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ সময় তাঁর বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন-সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যান আসামিরা। নিহত ছানোয়ারা বেগম সোনাইকান্দি গ্রামের মানিকের স্ত্রী। ওই বাড়িতে ছানোয়ারা ও তার ছেলে রাজ বসবাস করতেন।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন পারভিনা খাতুন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামীদের এই শাস্তির আদেশ দেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। বিচারক সোহানী পূশণের আদালতের বেঞ্চ সহকারী অরুপ রায়হান বলেন, ডাকাতি করতে গিয়ে মা ও ছেলেকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাইফুল ইসলাম কুষ্টিয়া ।
Discussion about this post