নিজস্ব প্রতিবেদক :: গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর বিএনপি’র সদস্য শাহীনা আক্তার সুইটি তার প্রয়াত স্বামীর জনপ্রিয়তা ও সন্তানদের আবেগকে ব্যবহর করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জোরপূর্বক একাধিক মার্কেট থেকে ভাড়া উত্তোলন, ব্যবসায়ীকে মারধর এমনকি ব্যক্তিগত গাড়ি চালককে বিয়ে করার পরও জড়িয়ে পড়েছেন পরকিয়ায়। দিনের পর দিন বেপরোয়া আচরণ, ভয়ভীতি ও হুমকিতে আতংকিত হয়ে পড়েছেন তিনটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এদিকে ভাইয়ের মৃত্যু’র শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ভাইয়ের সম্মানের দিক চিন্তা করে তার সাবেক স্ত্রী’র এহেন কাণ্ডে বাকী তিন ভাই রীতিমতো বিব্রত হচ্ছেন। সরেজমিনে জানা যায়, ব্যবসায়ী সুমন একজন ব্যবসায়ীক পার্টনার নিয়ে মাওনা চৌরাস্তা ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারের নিচতলায় একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করেন। তিনি শহিদুল্লাহ শহিদের তিন ভাইয়ের সঙ্গে চারবছরের চুক্তিতে ৪ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করেন। পরবর্তীতে আগস্টের ২৮ তারিখ বিকেলে শহিদুল্লাহ শহিদের সাবেক স্ত্রী শাহীনা আক্তার সুইটির নেতৃত্বে স্বপন ও জিয়াসহ ৩০-৪০ জন মিলে তাদেরকে দোকান থেকে বের করে প্রকাশ্যে মারধর করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সুমন বলেন, আমরা ওই রেস্টুরেন্টে ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ডেকোরেশন করি। আমাদের ৩-৪ মাস সময় দিলেও চলে যেতে পারতাম। কিন্তু বিনা নোটিশে হটাৎ করে এসে এভাবে মারধর করে বের করে দেয়ায় আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমরা আমাদের উপর করা শারীরিক নির্যাতনের বিচার চাই। ৫ আগস্টের পর শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ শহিদের জনপ্রিয়তা ও তার তিনজন সন্তানের আবেগ ব্যবহার করে যাচ্ছে তাই কুকর্ম করে বেড়াচ্ছে সুইটি। আওয়ামী লীগের পতনের পর সুইটি নিজেই যেন হয়ে উঠেছেন ভিন্ন চরিত্রের এক মাফিয়া। খুবই গোপনে ব্যক্তিগত গাড়ি চালককে করেছেন বিয়ে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি নেতা শহিদুল্লাহ শহিদের মৃত্যুর মাত্র দুই বছর পর ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে ব্যক্তিগত গাড়ি চালক আমির হোসেনকে বিয়ে করেন সুইটি। ওই বিয়ের কাবিননামা সংরক্ষিত রয়েছে। সুইটি এখনো ওই গাড়ি চালক আমির হোসেনের স্ত্রী বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নিজেই। এদিকে কিছুদিন পূর্বে মাওনা চৌরাস্তার ব্যবসায়ী সঙ্গীতা জুয়েলার্সের মালিক সুব্রত’র সঙ্গে কক্সবাজার ঘুরতে যান সুইটি। সুব্রত’র সঙ্গে কিছু অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি পাঠিয়ে নাম গোপন রাখার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, আমির হোসেনকে বিয়ের পরও সুব্রত’র সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন সুইটি। সার্বিক বিষয়ে শ্রীপুর পৌর বিএনপি’র সদস্য ও শহিদুল্লাহ শহিদের সাবেক স্ত্রী শাহীনা আক্তার সুইটি’র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে শহিদুল্লাহ্ শহিদের সাবেক সমর্থকদের নিয়ে রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে সুইটি একাই তিনটি মার্কেট থেকে জোরপূর্বক ভাড়া উত্তোলন করছেন। এতে বাকী তিন ভাই আশরাফুল ইসলাম আসাদ, শাহ্ আলম ও মোস্তফা কামাল বঞ্চিত হচ্ছেন। ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ার, ইয়াকুব আলী সুপার মার্কেট, ও এলজি মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকান থেকে জামানত বাবত লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
Discussion about this post