আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- নাটোর সদর উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শেণ্রীর চারজন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা নাটোর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. ওয়াহেদ মৃধাকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ওয়াহেদ মৃধা নাটোরের দিয়ার সাটুরিয়া এলাকার মো. ইদ্রিস মাস্টারের ছেলে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, চতুর্থ ও পঞ্চম শেণ্রীর চারজন ছাত্রীকে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন সময় ডেকে নিয়ে কোলে বসিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়েছেন এবং চুমু খেয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এরপর বাসায় গিয়েও এসব না বলতে ছাত্রীদের বিশেষভাবে বলে দিয়েছেন। পরে যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীরা বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন আজ সকালে স্কুলে আসেন। এরপর বিষয়টি প্রাইমারি স্কুলের পাশের উচ্চ বিদ্যালয় এবং এলাকায় জানাজানি হলে শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্র জনতা। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন তিনি বহিস্কৃত হয়েও ছিলেন। এলাকাবাসী স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, সকাল থেকেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগে স্কুল মাঠে ভিড় করতে থাকেন অভিভাবকেরা। পরে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতা। এদিকে, মহাসড়ক অবরোধ নাটোর বনপাড়া মহাসড়কের দুপাশের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে ছাত্র জনতাকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে মহাসড়ক ছাড়েন তারা। এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা, শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনেই আমরা এসে বিক্ষুদ্ধে জনতাকে শান্ত করা চেষ্টা করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অনেক অভিযোগ আছে। পুরো বিষয়টা ক্ষতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবেনা।
Discussion about this post