কণা আক্তার: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নবনিযুক্ত তিনজন উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয় নাই বলে মন্তব্য করে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, “দেশটা কোন নাট্যমঞ্চ বা শরণার্থীদের আশ্রয় শিবির নয়৷ বহুমত এবং পথের মানুষের মূল্যবোধ, চিন্তাধারা এবং ইচ্ছাকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মাধ্যমে ধারণ করতে হয়৷ নতুন উপদেষ্টাদের নিয়োগ নিয়ে সরকারের আরও সতর্কতা অবলম্বন করার প্রয়োজন ছিলো৷ উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক অপ্রত্যাশিত।” সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে বাগেরহাটে জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিং এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম বাগেরহাট জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশে ববি হাজ্জাজ বলেন, “দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী আকিজগ্রুপের একজন কর্ণধরকে বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ী সমাজের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যবসায়ী সমাজের সাথে সরকারের দূরত্ব ঘোচানোর প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই৷ তবে নবনিযুক্ত উপদেষ্টার পরিবারে এমন একজন ব্যক্তি রয়েছে যিনি আওয়ামী লীগের বিনাভোটের লুটেরা এমপি এবং জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের হত্যা মামলার আসামি। সংষ্কৃতি উপদেষ্টা হিসাবে জুলাই বিপ্লবে সরব থাকা এই অঙ্গনের একজন বিশিষ্ট প্রতিনিধি মনোনীত হলেও তাঁর ব্যক্তিগত দর্শন এবং অতীত কর্মকাণ্ড সব মহলকে খুশি করতে পারে নাই৷ সরকার চাইলেই এসব অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক এড়াতে পারত।” এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ” সম্ভাবনা থাকলেও পর্যটনে পিছিয়ে আছে বাগেরহাট জেলা৷ একদিকে সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য আর অন্যদিকে ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ। দেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যের দুটিই বাগেরহাটে। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে শেখ পরিবারের সদস্যরা এই অঞ্চলের সংসদ সদস্য হলেও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় নাই।” ববি হাজ্জাজ আরও বলেন, ” এইমুহুর্তে সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ। আমরা এইবিষয়ে সরকারের পরিষ্কার বক্তব্য শুনতে চাই।” সমাবেশে এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, “শেখ হেলাল-শেখ তন্ময়রা দক্ষিণাঞ্চলে বিকল্প সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলো৷ জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা খুলনার ‘শেখ বাড়ি’ তছনছ করে প্রমাণ করেছে জনতার শক্তির কাছে ফ্যাসিবাদ তুচ্ছ।” এনডিএম বাগেরহাট জেলা শাখার আহবায়ক মুজাহিদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনডিএম এর ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি, যুব আন্দোলনের সভাপতি আদনান সানি, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মুফতি শেখ ফরিদ প্রমুখ।
Discussion about this post