আল আমিন,নাটোর প্রতিনিধি :- আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের লগি-বৈঠার তাণ্ডবের হত্যার প্রতিবাদ এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে নাটোরে জামায়াতের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল করিম নিজামীর সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন সেক্রেটারি মো. আখের আলীর সঞ্চালনায় সামাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলা শাখার আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- নাটোর সদর-২ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আতিকুল ইসলাম রাসেল, সদর থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা মীর নুরুন্নবী, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমীন জিহাদী, সাবেক ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন, আলী আল মাসুদ মিলন, মো. সাজ্জাদুর রহমান,সদর থানা শাখার সভাপতি মো. তালহা মন্ডল ও সেক্রেটারি সোহানুর রহমান সোহান, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি আফতাব আলী, ও অধ্যাপক আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সব মতামত ও ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আগামীতে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলকে বিজয় করতে হবে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের পথ ধরেই আওয়ামী লীগ দেশে যে সন্ত্রাসী রাজনীতি শুরু করেছিল তা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তখন থেকেই দেশকে রাজনীতিশূন্য করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, বাক-স্বাধীনতা, ভোটাধিকারসহ মানুষের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে পল্টনের বায়তুল মোকারম উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ জনসভায় আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে তারা জামায়াতে ইসলামীর ১৪ জন নেতা কর্মীকে হত্যা করে। এবং শত শত নেতা কর্মীকে নির্মমভাবে আহত করে। শুধু তাতেই ক্ষান্ত হয়নি। জামায়াত নেতাকর্মীদের হত্যা করে তারা লাশের ওপর নৃত্য করেছিল। গোটা বিশ্ববাসী তা দেখেছিল। নারকীয় গণহত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবি করছি।
Discussion about this post