নিজস্ব প্রতিবেদক :: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলররা ওয়ার্ডে পাঁচ থেকে সাতজন পরিচ্ছন্নকর্মীর নামে ১৫-১৬ হাজার টাকা বেতন নিতেন। আর সেসব প্রত্যেক কর্মীকে ৭/৮ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাকিটা নিজেরা লোপাট করেছে। এ পরিচ্ছন্নকর্মীদের অনেকেই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের এখন পরিচ্ছন্নতার কাজে দেখাও যায় না। বৃহস্পতিবার রাতে নগরের ওয়াজেদিয়া মাদরাসা মাঠে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পীরে কামেল মাওলানা ওয়াজেদ আলী খান ও মাওলানা আতিকুল্লাহ খানের বার্ষিক ইছালে ছওয়াব ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা পরিচ্ছন্নকর্মী আছেন, তারা যদি নগর পরিচ্ছন্নের কাজ না করেন তাদের বাদ দিয়ে নতুন নগর পরিচ্ছন্নকর্মী নেওয়া হবে। যারা প্রত্যেকটা ওয়ার্ডকে পরিস্কার রাখবেন। নালা নর্দমা পরিষ্কার রাখবেন।
চট্টগ্রাম শহর সবার উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এ শহরটা একা আমি মেয়র ডা. শাহাদাতের নয়, এ শহরটা হচ্ছে সবার, এই চট্টগ্রাম হচ্ছে আপনাদের সবার। তাই সবাইকে এ শহরটাকে সুন্দর করতে হবে, পরিষ্কার করতে হবে।
পীরে কামেল মাওলানা আতিকুল্লাহ খান (রহ.) এর জীবনী তুলে ধরে তিনি বলেন, যুগে যুগে সুফি সাদেকরা এখানে আসেন। উনারা ইসলামকে প্রচার করেন। মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দেন, অসৎ কাজে নিষেধ করেন। মাওলানা আতিকুল্লাহ খান কোরআন সুন্নাহর আলোকে যেভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেই পথের আলোকে আমরা কাজ করে যাব। আপনারা সৎ কাজের আদেশ দিবেন, অসৎ কাজে নিষেধ করবেন। আল্লাহ আপনাকে পুরস্কৃত করবেন।
ওয়াজেদিয়া আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাহেদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা শাহজাহান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মোরশেদুল আলম কাদেরী, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক শামসুজ্জামান হেলালী, কুমিল্লা ওয়াজেদিয়া খানকার সভাপতি আব্দুল হক। উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা শামসুল আলম, জিএম আইয়ুব খান, ইদ্রিস আলী, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, আবদুর রহিম, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী মো. ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. বেলাল প্রমুখ।
Discussion about this post