ক্রীড়া ডেস্ক :: ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে ফুরফুরে মেজাজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিল পাকিস্তান। তবে সিরিজের শুরুটা ভালো হয়নি মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলের। মেলবোর্নে প্রথম ওয়ানডেতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে দারুণ লড়াই করেও ২ উইকেটে হেরে গেছে পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে সফরকারীরা।
আজ (শুক্রবার) অ্যাডিলেড ওভালে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। হারিস রউফের ফাইফারে ১৬৩ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। এরপর সাইম আয়ুব, আবদুল্লাহ শফিক ও বাবর আজমের ব্যাটে ৯ উইকেটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ৭১ বলে ৮২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন আয়ুব। ইনিংসে ৬টা ছক্কা ও ৫টা চার মেরেছেন পাকিস্তানি ওপেনার। শফিক ৬৪ ও বাবর আজম ১৫ রান করেন। পাকিস্তানের এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা হলো।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শাহিনের তোপে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার। একে একে জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ও ম্যাথু শর্টকে ফিরিয়ে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন এই পেসার। ১০ বলে ১৩ রান করে দলের ২১ রানের মাথায় বিদায় নেন ম্যাকগার্ক। আরেক ওপেনার ম্যাথু শর্ট আউট হন ১৫ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে।
তিনে নামা স্টিভেন স্মিথ এদিনও দলের হাল ধরার চেষ্টায় ছিলেন। তবে অন্য প্রান্তে সঙ্গ দেওয়ার মতো কাউকে পাননি। দলীয় ১০১ রানের মাথায় ৪৮ বলে ব্যক্তিগত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার বিদায় নিতেই যেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে ধস শুরু।
মাত্র ৬২ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। স্মিথ ছাড়া স্বাগতিক আর কোনো ব্যাটারই ২০ এর ঘর পার হতে পারেননি। শাহিনের পর আগুনে বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের ওপর রাজ করলেন আরেক পেসার হারিস রউফ। ৫ উইকেট শিকার করেছেন এই পেসার। এ ছাড়া ৩টি উইকেট শাহিন আফ্রিদির দখলে গেছে।
রউফ-শাহিনদের ঝলমলে বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের সামনে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই ছিল। মাত্র ১৬৪ রানের টার্গেট তাড়ায় নেমে উল্টো আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালালেন দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব এবং আব্দুল্লাহ শফিক। স্বাগতিক বোলারদের তুলোধুনো করে দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে একটা সময় মনে হচ্ছিল, কোনো উইকেট না হারিয়েই জয় পেয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।
তবে দলীয় ১৩৭ রানের মাথায় ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। জাম্পার বলে শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে হ্যাজলউডের হাতে ধরা পড়ার আগে ৭১ বলে ৮২ রান করেন সাইম। পরে বাবর আজমকে নিয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন শফিক। ৯ উইকেট হাতে রেখেই বিশাল জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ২০ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন বাবর। শফিক টিকে ছিলেন ৬৯ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে।
Discussion about this post