নিজস্ব প্রতিবেদক : শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টম এজেন্ট এসোসিয়েশনের বার বার সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক এবং সিনথিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর সত্ত্বাধিকারী মোঃ শাহজাহানকে নিয়ে নানামুখী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র সহ একটি মহল মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন শাহজাহান। সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, কিছু ব্যাক্তি আমার বিরুদ্ধে ভুলবাল বুঝিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম আমাকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্ধিরা এসব কাজে যুক্ত বলে অভিযোগ করেন শাহজাহান। নিজের পরিবারের সকলেই বিএনপিমনা বলেও দাবি করেন এবং এ বিষয়ে বেশ কিছু প্রমানপত্রও সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেন । উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষদের ইন্দনে সাবেক ক্ষমতাসীন দলের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ, বাড্ডার মহিলা কাউন্সিলর ইতি, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পিএ মনিরসহ কয়েকজন আমাকে নিয়ে রীতিমতো হলি খেলায় মত্ত্ব হয়েছে। পদে পদে হয়রানি এবং ডিবি সাবেক কমিশনার হারুনূর রশিদের অত্যাচার নির্যাতনের ফলে তিনি মৃত্যু মুখ থেকে কোন রকম বেচে আসেন। আমার কর্মচারি রুবেলসহ সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর লোকজনকে ব্যবহার এবং ব্যসায়িক প্রতিপক্ষ দ্বারা উৎসাহিত হয়ে ডিবির কমিশনার হারুনের টর্চার সেলের মুখোমুখি হই কমপক্ষে তিন বার। সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবার ডিবি হারুন আমাকে উঠিয়ে নিয়ে ছাত্রদের পানি এবং খাবার সরবরাহ করি এই বলে আমাকে সারা দিন আটক করে রাখে। ৫০ লক্ষ টাকা না দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। পরে বিবি হারুনকে ওয়াদা দিয়ে আসি যে আমার হাতে টাকা পয়সা নেই আমার পরিবারের গহনা বিক্রি করে হলেও আপনাকে যতটুকু পারি টাকা দিব এই কমিটমেন্টে আমাকে ছেড়ে দেয়। তিনি আরো বলেন, সেই ঘটনার ক্ষত না শোকাতেই প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীরা আমাকে নিয়ে নতুন ষডযন্ত্র শুরু করেছে। আমি বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম বলে একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মূলত গত সরকারের আমলে আমাকে ব্যবসায়িক ভাবে পঙ্গু করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করা হয়। তাই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঠিক রাখার স্বার্থে বিবি হারুন এর অত্যাচার থেকে বাঁচতে পরে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত স্থানীয় বিমানবন্দর ও আমার নিজ জেলা জামালপুর বিএনপির অধিকাংশ নেতার পরামর্শক্রমে আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে উঠাবসা শুরু করি। মুলত ব্যবসা টিকানোর সার্থে আমাকে আওয়ামী লীগের সুভাকাঙ্খি সাজতে হয়। কিন্তু সেই প্রতিপক্ষরা এখন আওয়ামী লীগের সাথে মেলা মেশাকে সামনে এনে আমাকে আওয়ামী লীগ বিমানবন্দর থানার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বলে গল্প সাজাচ্ছে। ঢাকা কাস্টমসের এর নেতা বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন দাবি করেন তিনি জানান, ২০২২ সালে তার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাশকতার একটি মামলার ১৮ নং আসামী তিনি। তার বিরুদ্ধে অপর একটি অভিযোগে দেখা যায়, খালেদা-তারেকের অর্থায়নকারী হিসেবে ২০২৩ জনৈক ওবায়দুল করিম দুদক চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে লেখা আছে, বিএনপি-জামাতের নাশকায় অর্থ যোগানদাতা হিসেবে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। জানাগেছে, অভিযোগের তদন্ত সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত চলমান ছিল। একটি টিভি চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে যে নিউজ প্রচার করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এর কারণে আমি নিজেই নিউজের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ করেছি এবং নিউজের ব্যাখ্যা চেয়েছি। নিজের বিরুদ্ধে আনা নানা অপপ্রচারের বিষয়ে তিনি প্রসাশন, সাংবাদিক, ও স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্ধর সহযোগিতা কামনা করেন।
Discussion about this post