আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :- নাটোরের বড়াইগ্রামে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নুরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে। সে উপজেলার ৬নং জোয়াড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ও একই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা লিলু মিয়া এর ছেলে। ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবার এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, গত ৪ নভেম্বর বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে শিশুটির উপরে কুনজর পরে ওই দপ্তরী নুরুজ্জামানের। সুযোগ বুঝে শিশুটির শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে ও বিভিন্ন ভাবে শ্লীলতাহানি করে। স্কুল ছুটির পর শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মা’কে জানালে, তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষকে জানায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপস্থিত না থাকায়, দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক সজল কুমার সরকার ও ইতি খাতুন জানান, আমরা শিশুটি এবং অভিযুক্তর সঙ্গে কথা বলেছি, তাতে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে ফিরলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে যোগদান করার পর থেকে অনেক অনিয়মসহ ইতিপূর্বে সরকারি গাছ বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে নুরুজ্জামান এর বিরুদ্ধে। পিতা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন অপকর্ম করে বিভিন্ন সময় নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়েছে এই দুশ্চরিত্র মানুষটি। এছাড়াও এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সুশীল ব্যক্তিদের ধরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় অব্যাহত আছে নুরুজ্জামান। অভিযুক্ত নুরুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, আমি এই ধরনের কাজ আর করাবো না, সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি , হয়তো সমাধান হয়ে যাবে।পরে তিনি সংবাদ প্রচারে নিষেধ করে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, শিশুরা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে নিরাপদ না থাকলে সেটি ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। আমরা তদন্তপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করব।
Discussion about this post