দৈনিক আমাদের সংবাদ ডেস্ক :: তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার এবারের প্রথম পর্বটি সা’দপন্থি অংশটি আয়োজনের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশের একাধিক শীর্ষ আলেম। আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর দিলুরোডে ‘দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখদের আহ্বানে অনুষ্ঠেয় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামী মহাসম্মেলন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে’ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস উবায়দুল্লাহ ফারুক, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড-বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা দেখেছি, দেশের মসজিদ-মাদ্রাসার যেকোনও সভা-সেমিনার এমনকি খতমে বুখারি অনুষ্ঠান করার জন্যও প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া লাগতো। এছাড়া তারা মসজিদ ও কওমি মাদ্র্রাসাগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতো বিভিন্নভাবে। দুঃখের বিষয় হলো— হাসিনা সরকারের পতনের পরও ওইসব পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। কিছু রাজনৈতিক দল ও প্রভাবশালীরা আওয়ামী লীগের মতো কওমি মাদ্রাসা-মসজিদে প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছে। দখলের পাঁয়তারা করছে। দেশের ওলামায়ে কেরাম এসব কিছুতেই মেনে নিতে পারে না।
তারা বলেন, দাওয়াত ও তাবলিগের শান্তিপূর্ণ কাজে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীরা তাকে ইজতেমায় আনা এবং প্রথম পর্বে ইজতেমা করার পাঁয়তারা করছে।
এসব বিষয় সামনে রেখে দেশের নতুন পরিস্থিতিতে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনত, কওমি মাদ্রাসাগুলোর হেফাজত ও দ্বীনি জিম্মাদারী আরও সুচারুরূপে রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখদের আহ্বানে আগামী ৫ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে ইসলামী মহাসম্মেলন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। এরপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই ভাগ হয়ে পড়ে তাবলিগ জামাত। ২০১৯ সাল থেকে আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগের কার্যকম পরিচালনা করেন তারা। প্রথম পর্বে জুবায়েরপন্থি ও দ্বিতীয় পর্বে সা’দপন্থিরা আয়োজক হিসেবে ভূমিকা রাখছেন।
Discussion about this post