নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঢাকা মহানগর উত্তরের খিলক্ষেত থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজপথের পরিক্ষিত সুপরিচিত আওয়ামী লীগের নেতা মোঃ সুজন দেওয়ান এখন বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠন কৃষক দলের আহবায়কের পদ ছিনিয়ে নিয়েছেন। খিলক্ষেতের বিএনপির কিছু নেতাদের সমর্থনে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপির নেতা বনে গেছে। কৃষক দলের খিলক্ষেত থানার তৃনমুল রাজপথের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সুজন দেওয়ান আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপির সহযোগী সংগঠন কৃষক দলের আহবায়ক পদ ক্রয় করেছেন। জানাজায়, খিলক্ষেত টানপাড়া এলাকায় নামধারী একটি সমিতি চালু করে এলাকার লোকজনকে সদস্য বানিয়ে লোন দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে লাপাত্তা হিসেবে ছিলো। এখন বিএনপির কিছু নেতার সাথে আঁতাত করে কৌশলে আওয়ামী লীগের নেতা বিএনপির নেতা হয়েছে। যাহা মোঃ সুজন দেওয়ান কে আহবায়ক ও শরিফ আহমেদ ( মোস্তাফিজ) কে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি দেওয়া হয় খিলক্ষেত থানা কৃষক দলের। প্রতারণা ধান্দাবাজি করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি গড়েছেন। এই পল্টিবাজ নেতার কর্মকাণ্ড দেখে খিলক্ষেত থানা কৃষক দল সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় বিএনপির অফিস সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের অবগত করা হয়েছে। নোয়াখালী তাঁর দেশের বাড়ী। জিরো থেকে কোটি প্রতি বনে গেছে এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে পরিচয় দেয়। খিলক্ষেত থানার- ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন সেজুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলো সুজন দেওয়ান। যাহা ছবিতে দৃশ্যমান। জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ সালের পরে ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন সেজুর বাসা ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোঃ খসরু চৌধুরী কে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে মোঃ সুজন দেওয়ান ও সেজু একসাথে পবিত্র ওমরা হজ্জ পালন করতে যান। আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি- জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে লোকজন নিয়ে সুজন দেওয়ান। ব্যানার, পোস্টার, গেঞ্জি করেছে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নৌকা প্রতীকের ছবি দিয়ে সুজন দেওয়ানের মাধ্যমে। দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী-অত্যাচার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় নাম ঢুকিয়ে দিয়ে টাকা বানিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে এই সেই সুজন দেওয়ানের বিরুদ্ধে। দিনের আলোতে বদলে গিয়ে টাকার ক্ষমতার বোলে আওয়ামী লীগ থেকে এখন খিলক্ষেত থানা কৃষক দলের আহবায়ক পদে যুক্ত হয়েছেন। বিষয়টি ঘিরে খিলক্ষেত থানা এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয় সম্পাদক ও ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি মোঃ খসরু চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত সুজন দেওয়ান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবিগুলো প্রচারণা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে কৃষক দলের ঢাকা উত্তরের আহবায়ক মোঃ আরশাদুল আরিফ ডল মোঃ সুজন দেওয়ান কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খিলক্ষেত থানা কৃষক দলের আহবায়ক পদ দিয়েছে। যাঁরা নিয়ে খিলক্ষেত থানা এলাকায় বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠন কৃষক দলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে। অথচ খিলক্ষেত থানা কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ত্যাগী, রাজপথের পরিক্ষিত পরিশ্রমী মোঃ ইমানুল হক নিজে ও জানেন না কমিটির বিষয়। বিষয়টি সর্ব মহলে আলোচিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের রাজপথের নেতা কিভাবে হটাৎ বিএনপির কৃষক দলের পদ পাইলো!। জানাজায়ঃ কৃষক দলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সামচুজ্জামান দুদু এর অনুসারী কৃষক দলের সাবেক নেতাকর্মী যাঁরা ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতৃবৃন্দ রয়েছে তাঁদের কোনো ধরনের কৃষক দলের কমিটিতে না রাখার জন্য এবং সাবেক কৃষক দলের নেতাকর্মীদের মাইনাস করার জন্য ভুমিকা পালন করছে বর্তমান ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক দলের আহবায়ক আরশাদুর ডল। সেই কারনেই খিলক্ষেত থানা কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ ইমানুল হক কে মাইনাস করা হয়েছে। খিলক্ষেত থানা কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক নেতাকর্মীদের সাথে কোনো ধরনের মতবিনিময় আলোচনা না করেই কমিটি দিয়েছে জানাজায়। ঢাকা মহানগর উত্তরের কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ আরশাদুল আরিফ ডলের মন্তব্য জানতে চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। খিলক্ষেত থানা এলাকার বিএনপির নেতা মোঃ আক্তার, মোঃ ফজলুল হক, মোঃ আনোয়ার, মারফত, মিজানুর রহমান রেনু এই বিতর্কিত কমিটির বিষয়ে অবগত নয়।
Discussion about this post