নিজস্ব প্রতিবেদক :: ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে এবং ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে আদালতের দেওয়া রায়ে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না এবং এটি চিরতরে নির্মূল করা হবে বলে প্রত্যাশা করছে জাতি।’ আগামীতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ায় ডা. শাহাদাতকে বিএনপি ও শীর্ষ দুই নেতার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান মির্জা ফখরুল। তিনি দাবি করেন, চসিক নির্বাচনে ড. শাহাদাত জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে সেই বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। নির্বাচনে কারচুপির ফলাফল পাল্টে দিয়ে ড. শাহাদাতকে যথাযোগ্য বিজয়ী ঘোষণা করায় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফখরুল। আদালতের রায় মেনে নিয়ে ডা. শাহাদাতকে দায়িত্ব দেওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এর আগে, রোববার সকালে চসিকের মেয়র হিসেবে শপথ নেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তাকে শপথ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। শপথ গ্রহণের পর ডা. শাহাদাত ফখরুলসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে, গত ১ অক্টোবর চসিক নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ড. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খায়রুল আমিন।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী প্রাথমিকভাবে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয় এবং বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান। তবে গত ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ড. শাহাদাতকে বিজয়ী ঘোষণা করে ওই রাতেই গেজেট প্রকাশ করে।
Discussion about this post