নিজস্ব প্রতিবেদক :: গাজীপুর জেলা শহরের প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মহসিন কম্পিইটার এন্ড ইলেট্রনিক্স এর দুই অংশিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে গাজীপুর চীফ মেট্রোপলিটন আদালত। পিটিশন মোকদ্দমা নং ৮৯৭ এর পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদনের পর গত ২৭ অক্টোবর ইসুকৃত পরোয়ানা তামিল করতে গাজীপুর মেট্রো সদর থানাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
আরজি সুত্রে জানা যায়, মহসিনের নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, গাজীপুর জেলা শহরের আকলিমা প্লাজায় অংশিদারি চুক্তি করে মহসিন কম্পিইটার এন্ড ইলেকট্রনিক্স এর চেয়ারম্যান ৪০ ভাগ শেয়ারের মালিক মোঃ মহসিন, ৩৫ ভাগ শেয়ারের মালিক আতিকুর রহমান এবং ২৫ ভাগ শেয়ারের মালিক আতিকুর রহমানের সহোদর বড় ভাই ও প্রতিষ্ঠানের মেনেজার বেলায়েত কারবার শুরু করেন। কারবার চলমান থাকা অবস্থায়, গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং হলরুমে বসে বেলায়েতসহ আশপাশের ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে নগদ ৭৫ লক্ষ টাকা বুঝিয়া নিয়া বিগত ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তঁার (মহসিনের) যাবতীয় (৪০ভাগ) শেয়ার নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে সহোদর ভাই মাসুদ সরকারের নিকট হস্তান্তর করেন। বিষয়টি জানার পর বিনিয়োগ বিহীন (পুজি হিসেবে ব্যবসায় অভিজ্ঞতা) প্রতিষ্ঠানের ৩৫ ভাগ শেয়ারের মালিক, মোকদ্দমার ২নং আসামী আতিকুর রহমানের যোগসাজসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আত্মস্বাত ও প্রতারণার উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগ সাজসে স্থানীয় আপোষ নামা, চুক্তি নামাসহ একাধিক ভূয়া দলিলসৃষ্টি করে এবং উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ মালিকানা দাবি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আতিকুরের কব্জায় নেন। এঘটনায় ৪০ ভাগ শেয়ার ক্রেতা মাসুদ সরকার বাদি হয়ে মহসিন ও আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৪০৬ / ৪২০ / ৪৬৮ / ৪৭১ / ১০৯ ধারায় সি.আর মোকদ্দমা নং ৮৯৭/২০২৪ দায়ের করলে মোকদ্দমাটি তদন্তের জন্য পি.বি.আই গাজীপুর কে নির্দেশ দেন। পি.বি.আই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরে বিগত ২৭ অক্টোবর আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে মেট্রো সদর থানাকে তামিলের আদেশ দেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর সংবাদ পেয়ে আতিকুর রহমান কর্মচারীদের নিকট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রেখে আত্ম গোপনে চলে যায়। গ্রেফতার এড়াতে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার বাদি মাসুদ সরকার জানান, আমার ভাই মহসিন আমেরিকা প্রবাসী ও দৈত নাগরীক, তার ৪০ ভাগ শেয়ার আমার নিকট হস্তান্তরের সংবাদ পেয়ে আতিক সড়যন্ত্র শুরু করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই আতিক প্রথমে মহসিনের সাথে স্থানীয় আপোষ নামা দলিল সৃষ্টি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কব্জায় নেয়। প্রকারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে মহসিন তার প্রতিষ্ঠানে হিসাব নিতে আসলে কর্মচারিরা তার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং এক পর্যায়ে আতিকের নির্দেশে আতিকের বউ মনিরা ও ভাবি প্রতিষ্ঠানে এসে তার উপর হামলা করায় এবং ঘটানাকে নারী নির্যাতনের জঘন্য ঘটনা সাজিয়ে আতিকের বউ মনিরাকে বাদী করে তার বড়ভাই শাখাওয়াতের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের উপর হামলাসহ চুরি, ডাকাতির মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগে চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে বিগত ২০ মে ২৪ তারিখে সি.আর মামলা নং ৭৭১/২৪ দায়ের করেন এবং ভয় ভিতি দেখাতে সাদা পোষাকে পুলিশ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করে। এতে অতঙ্কিত হয়ে মহসিন ভাই আমেরিকা চলে যায়। মুলত আমার ক্রয়কৃত ৪০ ভাগ শেয়ারের মূল্য বাবদ ৭৫ লক্ষ টাকা আত্নসাত করে আতিকুর রহমান বিনা পুজিতে প্রতিষ্ঠানের শত ভাগ মালিক হওয়াই আকিুর রহমানের একমাত্র উদ্ধেশ্য। প্রতিষ্ঠানের ২৫ ভাগ শেয়ারের মালিক আতিকের বড় ভাই বেলায়েত হোসেন জানান, অংশিধারি চুক্তি মোতাবেক দির্ঘদিন থেকে ব্যবসার হিসাব নিকাশ না দেওয়ায় আমি হিসাব নিকাশ চাইলে আমার ছোট ভাই আতিক প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কর্মচারিদের সামনে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা ও মারধোর করে, ইজ্জত শরমের ভয়ে আমি ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেই নাই, পরে আমাকে জোর-জবর দস্তি সাদা স্টেম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে দোকান থেকে বিতারিত করে এবং বিনা পুজিতে প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দাবি করে। এ বিষয়ে আতিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁর মোঠে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Discussion about this post