নিজস্ব প্রতিবেদক :: সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে রিকশাচালক ফয়সাল হোসেনকে (২৮) হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ২০৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
গত বুধবার ঢাকার আশুলিয়ার আমলি আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত শুনানি শেষে আশুলিয়া পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিলে পুলিশ তা রুজু করে। গুলিবিদ্ধ ফয়সাল হোসেনের স্ত্রী তানিয়া খাতুন এর অভিযোগটি যাচাই বাছাই করে রাতে এই মামলাটি রেকর্ডভুক্ত হয়। আজ শুক্রবার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চতি করেছেন আশুলিয়া থানার ও সি আবু বকর সিদ্দিক। ভিকটিমের স্ত্রী তানিয়া থাতুন যশোর জেলার মনিরামপুর থানার চন্ডিপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে।
এজহার থেকে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা, মারপিট ও গুলিবর্ষণ করে গুরুতর জখমসহ হত্যা প্রচেষ্টায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ওইদিন সকালে বাইপাইল মোড়ে আন্দোলনকারী ছাত্র জনতাকে পুলিশ গুলি করলে কোমরের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হন ফয়সাল হোসেন। তিনি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফয়সাল হোসেনের স্ত্রী তানিয়া খাতুনের অভিযোগ, স্বামীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। এরপর তিনি আদালতে যান।
শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ছাড়াও মামলার উল্লেযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী, সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার আনোয়ার জং মুরাদ, সাবেক এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেন, ঢাকা জেলার বরখাস্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্ল হিল কাফী, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন মাতবর, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ উদ্দিন দেওয়ান, আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন সরকারসহ অন্যান্যরা।
Discussion about this post