স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা :: টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া মাদক মামলার আসামি মনোয়ারা খাতুনকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ঝিনাইদহের গান্না ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে থানা থেকে পালিয়ে যান তিনি।
এদিকে থানা থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জীবননগর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) পবিত্র মণ্ডল, কনস্টেবল সোলাইমান হোসেন ও মিতা খাতুনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম। গ্রেপ্তার মনোয়ারা খাতুন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের শাহজাহান মণ্ডলের মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মনোয়ারা খাতুন ও নাজমুল হুদা নামের দুজনকে গত বুধবার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছে ৮৪ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেন মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সদস্যরা। এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে।
গত বৃহস্পতিবার মনোয়ারা ও নাজমুলকে আদালতে সোপর্দ করার কথা ছিল। তবে সকাল ৬টার দিকে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যান মনোয়ারা। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, মূলত নারী আসামিদের নারী ও শিশু ডেস্কের রাখা হয়। ভোর ৬টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে কক্ষ থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান মনোয়ারা। এত সকালে থানায় বেশি পুলিশ ছিল না। আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ঝিনাইদহের গান্না ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Discussion about this post