হাজী মুছা :: শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরনল গ্রামে গত বৃহস্পতিবার পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে আট মাসের এক গর্ভবতী মহিলাকে মারধরের অভিযোগ। এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত¡া মহিলার স্বামী শামীম খান বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন শামীম খান তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন গত ২৪শে অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বরনল গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে বশীর মিয়া (৪৫),বশীর মিয়ার ছেলে রাতুল মিয়া (২৪), গণি মড়লের ছেলে মোখলেস মাস্টার (৫২), আওয়াল(৫০), রহমত আলী মোড়ালের ছেলে কালু মোড়ল (৪৫), নুরু মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া (৪৬)সহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন অন্যায় ভাবে দা, লাঠি সোঠা নিয়া আমার শ্বশুড় বাড়ীর সামনে আসিয়া চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করিলে আমার শ্বশুড়ী আয়েশা রহমান ঘটনাস্থলে আসিয়া অন্যায় কাজে বাধা দিলে আমার শ্বশুড়ীকে এলোপাথারী ভাবে লাঠি লোহার রড দিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। মারধর খবর পেয়ে আমার ৮ মসের অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী আফরিদা আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন তাহাকেও এলোপাথারী ভাবে মারধর শুরু করে। এতে সে মারাত্মক ভাবে আহত হন এবং তাঁর গর্ভে থাকা বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসিলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার স্ত্রী অবস্থা গুরুতর দেখে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হাসপাতাল রেফার্ড করেন। সদর হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসা গ্রহন করার পর অবস্থা অবন্নতি হইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে আমার স্ত্রী চিকিৎসাধীন আছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন,ঘটনা সত্য না। এটা জমি সংক্রান্ত বিষয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post