স্টাফ রিপোর্টার :: নানা বৈতরনী পেরিয়ে একজন সফল নেতা আঃ জব্বার সরকার। তৃনমুল থেকে বেড়ে ওঠা এই নেতার জীবনের সোনালী দিন গেছে নানা প্রতিকূলকতার মধ্য দিয়ে। জীবনে অনে ঝড় বয়ে গেছে তার ওপর। নির্যাতনের স্ট্রীম রোলারে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে তার পুরো পরিবার। তবুও হাল ছাড়েনি। শক্ত হাতে হ্যান্ডেল করে আজ একজন সফল রাজনীতিবিদ। আঃ জব্বার সরকারের দিন কেটেছে রাজপথে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। দলকে আকড়ে ধরে জীবন বাজী রেখে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন। তুখোড় বক্তা ও রাজপথের রনাঙ্গনের সাহসী বীর সেনানী তিনি। ছাত্র হিসাবে ছিলেন মেধাবী ও অসীম সাহসী। তিনি ৩৪ বৎসর রাজনীতির বয়সে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে জোড়ালো ভুমিকা রাখেন। ১৯৯৩ সালে কাজী আজিমউদ্দিন কলেজে একাদ্বশ শ্রেনির খ’শাখা ইউনিট ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। গাজীপুর গাছা ইউনিয়নের সাবেক ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সাথে গাছা ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
এছাড়াও তিনি গাজীপুর মহানগর বিএনপি’র সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি গাছা থানা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এবং দলের গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ‘দলের দুর্দিনে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে সোচ্চার ছিলাম। আমরা সবাই মিলে সফল হয়েছি, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা নিজের জীবন রক্ষার জন্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ভারতে। সেখানে বসে হাসিনা একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে যদিও সেই ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের সবার প্রিয়নেতা তারেক রহমান বলেছেন; বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম ত্যাগ বঞ্চনা সহ্য করে বিএনপি জনগণের যে আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে, কিছু বিপথগামী চাঁদাবাজ দখলদারদের হঠকারিতায় সেই আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেটা সহ্য করা হবেনা। যাই হোকনা কেন আমাদের দল সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে।
Discussion about this post