নিজস্ব প্রতিবেদক :: দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। সোমবার দিবাগত রাতে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে টুর্ককে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র তৌফিক হাসান।
সফরে ফলকার টুর্ক প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, আইন ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামানের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে ফলকার টুর্কের। এছাড়া ফলকার টুর্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি ভাষণ দেবেন, যেখানে তিনি সরকার পতন আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করবেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশনের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা আছে তার। আগামীকাল বুধবার হাইকমিশনার তার মিশন শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের পট পরিবর্তনের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের এই সফরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সফরে মানবাধিকার, নিরাপত্তা এবং নির্বাচন ইস্যু গুরুত্ব পাবে। মানবাধিকার ইস্যুর মধ্যে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্ত রয়েছে। নিরাপত্তা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া সংস্কারে জাতিসংঘের কাছে সহযোগিতা চায় অন্তর্বর্তী সরকার। জাতিসংঘও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কিন্তু কোন ফরমেটে কীভাবে সহযোগিতা হতে পারে, তা টুর্কের ঢাকা সফরের আলোচনার টেবিলে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, মানবাধিকার, নিরাপত্তা এবং নির্বাচন ইস্যুতে ঢাকা জাতিসংঘের কাছে নগদ সহায়তা চায়। সেক্ষেত্রে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা চায় যে এই নগদ সহায়তা কোন কোন খাতে এবং কীভাবে খরচ করা হবে, সে বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা। শুধু তাই নয়, সেই সুপারিশমালা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের ঐকমত্য থাকতে হবে।
ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, টুর্কের এই সফরে অনেক বিষয়ে আলাপ হবে, তবে সফর শেষে আলোচিত বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলা নিয়েও তুর্কের সফরে আলোচনা হতে পারে।
Discussion about this post