আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর শহর এবং সদর থানা শাখার উদ্যোগে আজ সোমবার আওয়ামীলীগ এবং ১৪ দলীয় জোটের লগি বৈঠার তান্ডবের প্রতিবাদে এবং দোষিদের বিচারের দাবিতে নাটোর কানাইখালী পুরাতন বাস টার্মিনালে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাটোর সদর থানা জামায়াতের আমীর মাও: মীর নুরুন্নবীর সভাপতিত্বে এবং নাটোর শহর জামায়াতের আমীর মাওলানা রাশেদুল ইসলামের পরিচালনায় উক্ত সামাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলা আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মোঃ ইউনুস আলী, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান, জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক সাদেকুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল হাকিম, আতিকুল ইসলাম রাসেল ও অধ্যাপক ড. জিয়াউল হক জিয়া। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের পথ ধরেই আওয়ামীলীগ দেশে যে সন্ত্রাসী রাজনীতি শুরু করেছিল তা ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তখন থেকেই দেশকে রাজনীতিশূন্য করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার সহ মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে পল্টনের বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ জনসভায় আওয়ামীলীগ সহ ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা নারকিয় তান্ডব চালিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৪ জন নেতা কর্মীকে হত্যা করে এবং শত শত নেতা কর্মীকে নির্মম ভাবে আহত করে। শুধু তাতেই ক্ষান্ত হয়নি জামায়াত নেতা কর্মীদের হত্যা করে তারা লাশের উপর নৃত্য করেছিল। গোটা বিশ্ববাসী তা দেখেছিল। ২৮ অক্টোবরের নারকীয় গণহত্যার সাথে জড়িত খুনিদের বিচারের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু স্বৈরাচারি সরকার সেই মামলা প্রত্যাহার করে বিচারের পথ রুদ্ধ করে খুনিদের রক্ষা করেছিল। আমরা দাবি জানাই ২৮ অক্টোবরের লগি বৈঠার তান্ডবের সাথে জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং গণহত্যার সাথে জড়িত দল হিসেবে আওয়ামীলীগ সহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি ছাত্র নেতা আফতাব আলী, নাটোর শহর সেক্রেটারী অধ্যাপক ফজলুর রহমান, নলডাঙ্গা থানা আমীর আব্দুর রব, নাটোর সদর থানা সেক্রেটারী মাওলানা হারুন অর-রশিদ, জামায়াত নেতা আলী আল মাসুদ মিলন ও শামসুল ইসলাম কল্লোল প্রমূখ।
Discussion about this post