স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী :: তুরাগ নদের টঙ্গী বাজার আইচি খেয়াঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায়সহ একাধিক মামলা ও অভিযোগের ঘটনায় মোস্তাক সরকার টুটুলকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটকের পর তাকে প্রথমে উত্তরা পূর্ব থানায় রেখে কিছুক্ষণ পর টঙ্গী পূর্ব থানায় সোপর্দ করেছে যৌথ বাহিনী। রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় টঙ্গী পূর্ব থানায় তাকে সোপর্দ করা হয়। এর আগে গত শনিবার রাতে টঙ্গী বাজার আইচি খেয়াঘাট থেকে যৌথ বাহিনী তাকে আটক করে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, আইচি খেয়াঘাট থেকে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে টুটুলকে আটক করা হয়। টুটুল সরকার দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে আইচি খেয়াঘাট দখল করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছিলেন। এ ছাড়াও তিনি নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতার পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছিলেন। খেয়া ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া এবং অবৈধ ইজারার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিকে মারধর করেন এবং প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন।
তার এই অপকর্মের বিষয়ে জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রপত্রিকায় একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপহরণের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে সূত্র জানায়। আসামিকে উত্তরা আর্মি ক্যাম্প কর্তৃক প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উত্তরা (পূর্ব) থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১ জুলাই টুটুল এই ঘাট ইজারা নেন।
গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত টুটুল এই ঘাট ইজারা পান। ঘাট ইজারা পাওয়ার পর নৌকার মাঝিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে টঙ্গী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক শাহ আলম টঙ্গী বাজারে এই বিষয়টি সমাধান করার জন্য এসে অপমানিত হন। এরপর নৌকার মাঝিরা কোনো বিচার না পেয়ে ঘরে চলে যায়।
সূত্র বলছে, টুটুল সরকার ঘাট পাওয়ার পর ঘাটের ইজারায় আরিফুর রহমান নামে একজনকে অংশীদারও নেন। আরিফুর রহমান বলেন, ‘টুটুলের কাছে ২৭ লাখ টাকা পাই।’ এদিকে আর টুটুল বলছেন, ‘অংশীদার বাতিল করে দিয়েছি, কোনো টাকা পায় না।’ টুটুল ও তার অংশীদারের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা, জিডি ও অভিযোগও চলমান।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কায়সার আহমেদ বলেন, ‘আসামি টুটুলকে কিছুক্ষণ উত্তরা পূর্ব থানায় রাখা হয়। পরে আমার থানায় আনা হয়। এখন তিনি হাজতে আছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।’
Discussion about this post